নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে লড়াই করে আর পোষাচ্ছে না চিনের। তাই এবার শি জিনপিং-র প্রশাসন সরাসরি প্রকৃতির বিরুদ্ধে লড়াই করবে বলে ঠিক করেছে। এমনিতেই ২০১২ থেকে ২০১৭-র মধ্যে কৃত্রিমভাবে আবহাওয়ার পরিবর্তন করার জন্য বারবার পরীক্ষা নীরিক্ষা চালিয়েছে। তার জন্য ইতিমধ্য ১.৩ বিলিয়ন ডলার খরচ হয়েছে চিনের। চিনের উত্তর ভাগে শিনজিয়াং প্রদেশ অনাবৃষ্টির জন্য প্রতি বছর সমস্যায় পড়ে। চিন তাই বহু বছর ধরে কৃত্রিম উপায়ে ওই অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের চেষ্টা করছে। এই প্রক্রিয়ায় কিছুটা সফলও হয়েছে তারা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২০০৮ বেজিং অলিম্পিকের সময় চিনের প্রশাসন ক্লাউড সিডিং-এর মাধ্যমে কৃত্রিম বৃষ্টিপাত ঘটিয়েছিল। যাতে কুয়াশা কেটে আকাশ পরিষ্কার থাকে। গেমস পরিচালনার ক্ষেত্রে যাতে কোনও সমস্যা না হয়! বেজিং-এ গুরুত্বপূর্ণ কোনও বৈঠক থাকলেও চিনের প্রশাসন কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটায়। যাতে স্মগ কাটিয়ে আকাশ পরিষ্কার ও ঝকঝকে থাকে। তবে ক্লাউড সিডিং নতুন কিছু নয়। গত কয়েক বছর ধরেই এই প্রক্রিয়া চলছে। এই প্রক্রিয়ায় একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলের মেঘে সিলভার আয়োডাইড প্রয়োগ করা হয়। যার জেরে সেই অঞ্চলের মেঘ আদ্র হয়ে ভারি হয়ে যায়। ফলে নির্ধারিত সময়ের আগেই বৃষ্টিপাত হয়।


আরও পড়ুন-  প্রবল বিস্ফোরণ, রান্নঘরে ফেটে গেল ৭৫ বছরের পুরনো গ্রেনেড


এবার জানা যাচ্ছে, চিন ৫০ লক্ষ বর্গকিলোমিটার এলাকায় আবহাওয়া বদলের চেষ্টা করবে। এই ওয়েদার মডিফিকেশন প্রোগ্রাম-এর জন্য তারা অনেক অর্থ খরচ করছে। কৃত্রিম উপায়ে বৃষ্টিপাত ঘটানো ছাড়া বরফপাত আটকানোরও চেষ্টা করবে তারা। অর্থাত্, প্রাকৃতিক বিপর্যয় আটকানোর চেষ্টা করা হবে। অনেকেই বলছেন, চিনের এই প্রচেষ্টা হিতে বিপরীত হতে পারে। তাই প্রতিবেশী দেশগুলির এখন থেকেই সাবধান থাকা উচিত। চিনর প্রশাসন অবশ্য দাবি করছে, এই প্র্ক্রিয়া সফল হলে তারা প্রকৃতিকে কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।