নিজস্ব প্রতিবেদন: ইতিহাসে নাম লিখিয়ে ফেলল চিন। অনেকগুলো প্রথম সারির দেশকে টপকে সে পৌঁছল মঙ্গলে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মঙ্গলে (Mars) পৌঁছনোর দৌড়ে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন-এর সঙ্গে এক সারিতে বসে পড়ার লক্ষ্যে গত বছর জুলাইয়ে লালগ্রহের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছিল চিনের মঙ্গলযান 'তিয়ানওয়েন-১' (Tianwen-1)। শনিবার সকালে এই চিনা মঙ্গলযানটি নিরাপদ এবং সফলভাবে অবতরণ করল মঙ্গল গ্রহে। 


আরও পড়ুন: করোনার ভারতীয় স্ট্রেনের জন্যই ভেস্তে গেল মুক্তজীবনের পরিকল্পনা, মত ব্রিটেনের


এই অভিযানে চিন মঙ্গলের উদ্দশ্যে পাঠিয়েছিল যানের দু'টি অংশ। একটি অরবিটার, যা মঙ্গলের কক্ষপথে পাক খাবে এবং অন্যটি রোভার, যা অবতরণ করবে। সংশ্লিষ্ট মহলের মত, চিনের সফল মঙ্গল গ্রহে অবতরণ বিশ্বকে দেখাল, উন্নত ইন্টারপ্ল্যানেটারি স্পেস (Interplanetary space) সক্ষমতা নিয়ে আরও একটি দেশ রয়েছে।


NASA-র অ্যাসোসিয়েটেড অ্যাডমিনিস্ট্রেটর ফর সায়েন্স (Associate administrator for science) থমাস জুরবুচেন (Thomas Zurbuchen) Twitter-এ চিনকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে তিনি লেখেন--এই মিশনটি লালগ্রহকে বোঝার ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে, এই প্রত্যাশায় রয়েছি।


চিনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনগুলিতে এই অবতরণ সম্পর্কিত কোনও রিপোর্ট দেখানো হয়নি। তবে মিশনটি সফল হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরে এই বিষয়ে একটি অনুষ্ঠান সম্প্রচারিত হয়।


এই চূড়ান্ত সাফলতার পর জি জিনপিং (Xi Jinping) মহাকাশ সংস্থার বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন--এটি আমাদের দেশের এরোস্পেসের প্রচেষ্টার ক্ষেত্রে আরও একটি মাইলফলক।


লালগ্রহকে তিনমাসের বেশি সময় ধরে প্রদক্ষিণ করেছে এই তিয়ানওয়োন-১। তারপর সেটি রোভার-সমেত অরবিটার থেকে আলাদা হয়ে যায় এবং মঙ্গলের মাটিতে আছড়ে পড়ে। এ সময়ে spacecraftটি আগের মতোই seven minutes of terror-এর অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়। স্পেসক্র্যাফ্টটিতে heat shield ছিল। তা প্রাথমিক ধাক্কা জনিত উত্তাপ থেকে রক্ষা করেছে। 


আরও পড়ুন: করোনার দিনগুলিতেও দুর্নীতি! অভিযুক্ত চিন