নিজস্ব প্রতিবেদন- এখনো রোজ প্রায় এক ডজন মানুষ চিনে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও সংখ্যাটা সন্দেহজনক. কারণ প্রথম থেকেই চিনের বিরুদ্ধে তথ্য গোপনের অভিযোগ করেছিল আমেরিকাসহ অনেক দেশ। এমনকী চিনের সংবাদমাধ্যমের একাংশও কমিউনিস্ট সরকারের এই তথ্য গোপনের বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছিল। তবে চিনের সরকার বারবার সংবাদমাধ্যমের টুঁটি চেপে ধরার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। করোনা মহামারীর সময় চিনের প্রতিটি সংবাদমাধ্যমের খবর পরিবেশনের ওপর নজর রেখেছে প্রশাসন। একটু এদিক ওদিক হলেই খাঁড়া ঝুলেছে সেই সংবাদমাধ্যমের উপর। তবে করোনা যে এখনও চিনে সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে বেশ ভয়ের কারণ হয়েই রয়েছে, সেটা আরও একবার প্রমাণ হল একটি ভিডিয়োর মাধ্যমে। সেই ভিডিয়ো অবশ্যই চিনের সমস্ত সংবাদমাধ্যম প্রকাশ করতে পারল না। কারণ ওই, সরকারের দখলদারি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং সেনজেন প্রদেশের একটি সম্মেলনে হাজির হয়েছিলেন। সেখানে বক্তৃতা দেওয়ার সময় প্রায় ১০ মিনিট লাগাতার কাশি হয়েছে জিনপিংয়ের। কাশির তীব্রতা এতটাই ছিল যে ক্ষণিকের জন্য নাজেহাল হয়ে পড়েছিলেন চিনের প্রেসিডেন্ট। বক্তৃতা দেওয়ার সময় বেশ অস্বস্তি বোধ করছিলেন তিনি। যদিও চিনের সরকারি চ্যানেল জিনপিংয়ের কাশির অংশটুকু কেটে বাকি ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে। তবে অনুষ্ঠানে অন্য সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা ছিলেন। ফলে তাঁদের ক্যামেরায় রেকর্ড হয়ে যায় জিনপিংয়ের কাশির ভিডিয়ো। বক্তৃতার প্রায় শেষ দিকে হঠাৎ করেই কাশতে শুরু করেন শি জিনপিং। কাশি কিছুতেই থামছিল না। তখন তিনি পাশে রাখা জলের গ্লাসে চুমুক দিয়ে গলা ভেজান। তার পরও বেশ খানিকক্ষণ তাঁর অস্বস্তি কাটেনি।


আরও পড়ুন-  করোনা ছড়াচ্ছে আগুনের মতো! সারা বিশ্বে আসল চিন্তার কারণ এখন 'সাবান'



জিনপিংয়ের মুখে মাস্ক ছিল না। তিনি সেনজেন প্রদেশের সেই অনুষ্ঠানে অবশ্য সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখেই সবার সঙ্গে কথা বলছিলেন। মোট ৫০ মিনিটের বক্তৃতার সময় প্রায় ১০ মিনিট ধরে কাশিতে জেরবার হন তিনি। বারবার জল পান করেও সেই কাশি থামাতে পারছিলেন না চিনের প্রেসিডেন্ট। জিনপিংয়ের শারীরিক অবস্থার কোনো খবর অবশ্য চিনের কোনও সংবাদ মাধ্যম প্রকাশ করেনি। তবে জানা গিয়েছে, গত সপ্তাহে সেনজেন-এর সেই সম্মেলনে গিয়ে জিনপিংয়ের প্রবল কাশি হয়। ইতিমধ্যেই জিনপিংয়ের মাস্ক না পড়ার ব্যাপারটি নিয়েও সমালোচনা শুরু করেছে একাধিক সংবাদ মাধ্যমে।