নিজস্ব প্রতিবেদন- প্রথমে গির্জা। তার পর মসজিদ। শেষে চার্চ। কিন্তু এখানেই শেষ হল না অবশ্য। ঐতিহ্যশালী হাজিয়া সোফিয়া আবার মসজিদে রূপান্তরিত করা হয়েছে। ঐতিহাসিক নির্দশনটিকে আবার মুসলমান সম্প্রদায়ের উপাসনালয় হিসাবে গড়ে তোলা হবে। তুরস্কের আদালত আগেই নির্দেশ দিয়েছিল হাজিয়া সোফিয়া আর জাদুঘর হিসাবে খোলা থাকবে না। চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে হাজিয়া সোফিয়াতে নামাজ আগায় করতে পারবেন মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষরা। যদিও তুরস্কের আদালতের এমন সিদ্ধান্তে সারা দুনিয়ায় বহু মানুষ প্রতিবাদে গর্জে উঠেছেন। এমনকী পোপ ফ্রান্সিস নিজেও এই সিদ্ধান্তে অখুশি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মসজিদে রাপন্তরিত করলেও পুরনো এই গির্জার ভিতরে বহু জায়গায় খ্রিষ্টীয় চিহ্ন রয়েছে। সেগুলি এই গির্জার পুরনো ইতিহাসের সাক্ষী। এতদিন পর্যন্ত এই চিহ্নগুলিকে সংরক্ষণ করা হয়েছে। জাদুঘর হিসাবে দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠলেও সেই চিহ্নগুলিকে সরানো হয়নি। সেগুলিকে ইতিহাসে জীবন্ত দলিল হিসাবে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু এখন পরিস্থিতি আলাদা। আদালতের নির্দেশে জাদুঘর এখন মসজিদে রূপান্তরিত হয়েছে। আর মসজিদের ভিতর খ্রিষ্টীয় চিহ্ন রাখা চলবে না। এদিকে সেইসব পুরনো চিহ্ন ভিতরের দেওয়াল থেকে মুছে ফেলাও এত সহজ কাজ নয়। তাই সেখানকার প্রশাসন ঠিক করেছে নামাজের সময় ওই চিহ্নগুলিকে লেজার-এর মাধ্যমে ঢেকে রাখা হবে। 


আরও পড়ুন-  বাড়ি ভাঙতে এসেছে সরকারি লোকজন, ভয়ঙ্কর কাণ্ড করে বসলেন বাসচালক


তুরস্কের এ কে পার্টির মুখপাত্র ওমর সেলিক জানিয়েছেন, এই জাদুঘরে প্রবেশ ছিল অবাধ। কোনও প্রবেশমূল্য নেওয়া হত না। জাদুঘরের ভিতর বহু জায়গায় ঐতিহাসিক চিহ্নগুলি রয়েছে। সেগুলিকে আপাতত নামাজের সময় ঢেকে রাখা হবে। তবে পরবর্তী সেগুলিকে একেবারে মুছে ফেলা হবে কি না তা নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি। তুরস্কের আদালত জানিয়েছিল, ১৯৩৪ সালে বেআইনিভাবে এই মসজিদকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়েছিল। প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ান এর পরই জানিয়ে দেন, দুসপ্তাহের মধ্যে মসজিদে রূপান্তরিত করা হবে হাজিয়া সোফিয়াকে।