নিজস্ব প্রতিবেদন: পলাশীর যুদ্ধে ও রবার্ট ক্লাইভের হাত ধরেই ভারতে উপনিবেশ শুরু হয়েছিল ব্রিটিশের। কালক্রমে তা ব্রিটিশ রাজে পরিণত হয়। আড়াই শতকেরও বেশি সময় পর এখন খোদ ব্রিটিশরাই বলছেন, রবার্ট ক্লাইভ অত্যাচারের প্রতীক। ঐতিহাসিক মানুষ বলেই ধোয়া তুলসীপাতা হয়ে যান না। তাঁর মূর্তি সরাতে হবে। কারণ ওই মূর্তি উপনিবেশবাদের প্রতীক। এনিয়ে শয়ে শয়ে মানুষ অনলাইনে আবেদনও করেছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-‘গোষ্ঠী সংক্রমণ শুরু হয়নি, জুলাই পর্যন্ত দিল্লিতে করোনা আক্রান্ত হতে পারেন ৫.৫ লাখ মানুষ’


পশ্চিম ইংল্যান্ডের শ্রেসবেরিতে একটি মূর্তি রয়েছে ক্লাইভের। এটির নাম ক্লাইভ অব ইন্ডিয়া। সেই মূর্তি সরানোর জন্য Change.Org নামে একটি সাইটে শ্রেসবেরির কান্ট্রি কাউন্সিলে দাবি তুলেছেন শয়ে শয়ে মানুষ। সম্প্রতি সেখান দাস ব্যবসায়ী এডওয়ার্ড কলস্টনেরও মূর্তির ভেঙে ফেলা হয়েছে। এবার দাবি উঠেছে ক্লাইভের মূর্তি সরাতে হবে। পিটিশনে সাক্ষর করেছেন ২৫০০ মানুষ।


কান্ট্রি কাউন্সিলের কাছে পাঠানো পিটিশনে লেখা হয়েছে, ক্লাইভের মূর্তি ব্রিটিশ উপনিবেশবাদের প্রতীক। ভারতীয়, বাঙালি ও দক্ষিণ পূর্ব এসিয়ার মানুষদের জন্য অত্যাচারের প্রতীক। তাঁর নেতৃত্বে লাখ লাখ মানুষ খুন হয়েছে ভারতে। ব্রিটেনের সরকার কি সেই ‘গর্ব’  এখনও বয়ে নিয়ে যেতে চায়!


আরও পড়ুন-'বিজেপি মুখ্যমন্ত্রী বাংলায় শপথ নেওয়ার ১ মিনিটের মধ্যেই আয়ুষ্মান ভারত চালু হয়ে যাবে'


বেঙ্গল প্রসিডেন্সির প্রথম গভর্নর ক্লাইভ হয়েছিলেন। ক্লাইভ অব ইন্ডিয়া উপাধিও পেয়েছিলেন। পিটিশনে বলা হয়েছে, ক্লাইভের ইতিহাস খুনের ইতিহাস। লুটের ইতিহাস। তাঁর আদেশে একটা জাতিকে প্রায় শেষ করে দেওয়া হয়েছিল। শুধুমাত্র ঐতিহাসিক চরিত্র বলেই তিনি ভালো হয়ে যান না। তাঁকে অত্যাচারী ছাড়া আর কিছুই বলা যায় না। কয়েক শো বছর ধরে শ্রেসবেরিতে তা উদযাপন করা হচ্ছে। এজিনিস শেষ হওয়া উচিত।


এদিকে, ওই আবেদন নিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছেন এলাকার সাংসদ ড্যানিয়েল কওজেনেস্কি। বিষয়টি নিয়ে তিনি আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছেন।