নিজস্ব প্রতিবেদন- একে তো করোনায় জেরবার আমেরিকা। তার উপর আবার আমেরিকার আটটি শহরে নতুন উপদ্রব শুরু হয়েছে। সবার আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের কলের জলে এক প্রকার বিরল অ্যামিবার সন্ধান পাওয়া যায়। এককোষী এই প্রাণী মানুষের শরীরে প্রবেশ করতে পারলে মস্তিষ্কের ব্যাপক ক্ষতি করে দিতে পারে। এর পর লেক জ্যাকশন, ফ্রিপোর্ট, এনগ্লিটন, ব্রাজোরিয়া, রিচউড, ওস্টার ক্রেক, ক্লুট, রোজেনবার্গ শহরেও মিউনিসিপ্যালিটির সরবরাহ করা জলে মস্তিষ্কখেকো অ্যামিবার উপস্থিতি পাওয়া গিয়েছে। এই শহরগুলিতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, এই অণুজীব বা অ্যামিবা সাধারণত মানুষের নাক দিয়ে জলের মাধ্যমে প্রবেশ করে। তার পর মস্তিষ্কের ব্যাপক ক্ষতি করে। নায়েগ্লেরিয়া ফাওলেরি নামক এই অনুজীবের সংক্রমণে এর আগে আমেরিকায় অনেকে প্রাণ হারিয়েছেন। ২০০৯ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত মোট ৩৪ জন এই অ্যামিবা সংক্রমণে মারা গিয়েছেন।  আপাতত আটটি শহরের বাসিন্দাদের টয়লেটের ফ্ল্যাশ ছাড়া আর কোনো কাজে কলের জল ব্যবহার করতে বারণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে জল নিরাপদ করতে ব্যবস্থা নিয়েছে প্রশাসন। তবে কতদিনে এতগুলি শহরের জল সম্পূর্ণ নিরাপদ করা যাবে তা এখনই বলা যাচ্ছে না।


আরও পড়ুন-  ২০৮ কেজির জুয়ান হারালেন কোভিডকে


উল্লেখ্য, ১৯৬০ সালে অস্ট্রেলিয়ার একটি হ্রদের জলে প্রথম নাইজেলরিয়া ফ্লাওয়ারি নামক এই মস্তিষ্কখেকো অণুজীবের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল। দ্রুত কোষ বিভাজন করতে পারে এই অ্যামিবা। আর তাই হট ওয়াটার লেক বা উষ্ণ জলের আধারে এই অ্যামিবা থাকে বেশি। শিল্পাঞ্চলের কাছাকাছি এলাকার দূষিত জল, দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার না হওয়া সুইমিংপুল বা ক্লোরিনেটেড নয় এমন জায়গাতে দ্রুত ছড়ায় এই অনুজীব। এককোষী হলেও মানুষের স্নায়ুকোষের ব্যাপক ক্ষতি করতে পারে এই অ্যামিবা। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই অনুজীব থাকা জল পান করলে ততটা মারাত্মক প্রভাব পড়ে না। কিন্তু জল নাক দিয়ে প্রবেশ করলে মহাবিপদ হতে পারে। অনেক সময় দেখা গিয়েছে, অ্যামিবা শরীরে হানা দেওয়ার পর কোনও মানুষ এক সপ্তাহের মধ্যে মারাও গিয়েছেন।