ওয়েব ডেস্ক : বার বার জঙ্গি হামলায় রক্তাক্ত ইউরোপ। গত কয়েক বছরে ইউরোপ জুড়ে জঙ্গি হামলা। সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসের মত বড় ধরনের নাশকতা নয়। ছোট ছোট হামলায় আতঙ্ক ছড়ানোই জঙ্গিদের মূল উদ্দেশ্য। আর এখানেই জঙ্গিদের সহজ টার্গেট ইউরোপ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কখনও ইরাক, কখনও আফগানিস্তান। কখনও ইয়েমেন, কখনও সোমালিয়া। গত কয়েক দশক ধরে জঙ্গিদের মূল টার্গেট ছিল পশ্চিম এশিয়া, আফ্রিকা এবং উপমহাদেশ। কিন্তু সন্ত্রাসের মানচিত্র গত এক বছরে অনেকটাই বদলেছে। বদলেছে হামলার ধরন।


জঙ্গিদের এক নম্বর টার্গেট এখন ইউরোপ। লাগাতার সন্ত্রাসবাদী হামলা বিধ্বস্ত ইউরোপ-
৭জানুয়ারি, ২০১৫-প্যারিসে শার্লে এবদো দফতরে হামলা
১৩ নভেম্বর, ২০১৫- ব্ল্যাক ফ্রাইডে, প্যারিসে পর পর হামলা
২২ মার্চ, ২০১৬- ব্রাসেলস বিমানবন্দরে হামলা
২৯ জুন, ২০১৬-ইস্তানবুল বিমানবন্দরে হামলা
১৫ জুলাই, ২০১৬- ফ্রান্সের নিসে হামলা
১০ ডিসেম্বর, ২০১৬- ইস্তানবুলে জোড়া বিস্ফোরণ


শক্তি হারিয়ে জঙ্গি দুনিয়ায় কোণঠাসা আল কায়দা। নতুন শক্তি আইসিস। টার্গেট বিশ্বজুড়ে খিলাফত প্রতিষ্ঠা। ইসলামিক স্টেটের এক নম্বর টার্গেট ইউরোপ। পশ্চিম এশিয়ার কূটনীতিতে এখন অনেক বেশি সক্রিয় ইউরোপ। অবস্থানগত দিক থেকেও এশিয়ার ঘাঁটি থেকে ইউরোপে হামলা অনেক সুবিধা জনক। আতঙ্ক ছড়াতে তাই সহজ হামলার পথ বেছে নিয়েছে আইসিস।


তবে হামলার কায়দায় বদল হয়েছে। এখন হাতিয়ার লোন উলফ। ফ্রান্সের নিসে একজন ট্রাক চালক পিষে দিয়েছিল চুরাশিজনকে। একই ধাঁচে হামলা বার্লিনেও। প্যারিস হোক বা ব্রাসেলস। লোন উলফ কায়দায় হামলা এখন জঙ্গিদের প্রথম পছন্দ। সেপ্টেম্বর সন্ত্রাসের মত বিশ্ব কাঁপিয়ে দেওয়া হামলা নয়। তুলনামূলক ছোট হামলায় অনেক বেশি আতঙ্ক, অনেক বেশি ক্ষতি। এটাই এখন জঙ্গিদের মোডাস অপারেন্ডি। সন্ত্রাসের কায়দা বদলের সঙ্গে সঙ্গে বদলেছে টার্গেট। তাই এখন ব্যাটলগ্রাউন্ড ইউরোপ।