নিজস্ব প্রতিবেদন— বাবা মৃত্যুশয্যায়। কিন্তু শেষ সময়ে বাবার পাশে থাকতে পারছে না সন্তানরা। এর থেকে দুর্ভাগ্যের আর কী হতে পারে! বিশ্বের বেশিরভাগ দেশে এখন লকডাউন চলছে। ফলে অনেকেই অনেকরকম সমস্যায় পড়ছেন। প্রিয়জনের শেষ সময়ে অনেকেই পাশে থাকতে পারছেন না। যোগাযোগ ব্যবস্থা স্তব্ধ। ফলে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যাওয়ার উপায় নেই। নিউ ইয়র্কের বাসিন্দা ডন অ্যাডায়ার করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। কিন্তু শেষ সময়ে তাঁর ছেলেমেয়েরা পাশে থাকতে পারেননি। তবে ছেলেমেয়ে ও অ্যাডায়ারের মধ্যে শেষ সময়ে যোগাযোগ ছিল ফোনের মাধ্যমে। স্বান্তনা বলতে এটুকুই।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তিন ভাই—বোন ডেনমার্ক, টেক্সাস এবং উত্তর ক্যারোলাইনা থেকে ফোনে নিউইয়র্কের হাসপাতালে থাকা বাবার সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছিলেন। শেষ সময় অ্যাডায়ারের অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে তিনি কথা বলতে পারছিলেন না। তবে টানা ত্রিশ ঘণ্টা তাঁর ছেলেমেয়েরা বাবার সঙ্গে কথা বলে গিয়েছেন। হাসপাতালের এক নার্স অ্যাডায়ারের বেডের পাশে ফোন রেখে দেন। তার পর ফোনের ওপারে টানা ত্রিশ ঘণ্টা তাঁর ছেলেমেয়েরা বাবার সঙ্গে কথা বলতে থাকেন। মেয়ে অ্যাডায়ার রেইনহার্ড বলছিলেন, ''বাবা তো কথা বলতে পারছিল না। তবে নিশ্বাসের শব্দ শুনে আমরা বুঝতে পারছিলাম বাবা বেঁচে রয়েছে। এই সময় বাবার হাত ধরে পাশে থাকতে পারিনি। তবে যেটুকু পেরেছি তাই অনেক এমন সময়। শেষ সময় বাবা খুব কষ্ট পাচ্ছিল। সেটা আমরা বুঝতে পারছিলাম।''


আরও পড়ুন— করোনা নিয়ে ব্যঙ্গাত্মক পোস্ট করা ব্যক্তি মারা গেলেন করোনাতেই


৭৬ বছর বয়সী অ্যাডায়ারের জন্য তাঁর ছেলেমেয়েরা গান গেয়েছেন। তার পর বাবার কাছে ব্যক্ত করেছেন তাঁর প্রতি নিজেদের ভালবাসার কথা। পুরনো সব স্মৃতিও বাবাকে বলছিলেন তাঁরা। আর এসবই হয়েছে ফোনে। শেষবেলায় বাবা অ্যাডায়ারের পাশে এভাবে থাকতে পেরেও মানসিক শান্তি পেয়েছেন তাঁর তিন ছেলেমেয়ে।