জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত মাসের ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত দক্ষিণ-পূর্ব তুরস্কের (Turkey) দুটি শহরের রাস্তায় বন্যার কারণে ১৪ জন মারা গেছে এবং আরও কয়েকজন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের মধ্যে ভূমিকম্পে বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিরাও ছিলেন যারা ভূমিকম্পের পর থেকে কন্টেনার বাড়িতে বসবাস করছিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সানলিউরফার (Sanliurfa) রাস্তায় বন্যার জলের স্রোতে গাড়ি ডুবে যায়, যেখানে ১২ জনের মৃত্যু হয়। আদিয়ামনে (Adiyaman) একটি কন্টেইনার যেখানে দুটি পরিবার ছিল তাঁরা বন্যায় ডুবে গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে।


শহরে নিহত দুই জনের মধ্যে কন্টেইনারে বসবাসকারী এক নারীও রয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজনের নিখোঁজ হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। শহরের তাঁবুগুলো খালি করা হয়েছে।


আরও পড়ুন: New US Ambassador to India: ভারতে আসছেন নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত, শিলমোহর বাইডেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু এরিক গারসেটির নামে


সর্বশেষ এই বিপর্যয়টি ৬ ফেব্রুয়ারীতে জোড়া ভূমিকম্পের মাত্র পাঁচ সপ্তাহ পরে এসেছে। ভূমিকম্পে ৪৮,০০০ মানুষ মারা যান এবং আরও অনেকে গৃহহীন হয়ে পড়েন।


অনুসন্ধান ও উদ্ধারকারী সংস্থা আফাদ জানিয়েছে যে একটি ২৪-ঘন্টার সময়কালের মধ্যে, আদিয়ামান প্রদেশের একটি এলাকায় ১৩৬ মিমি (৫.৪ ইঞ্চি) এবং সানলিউরফাতে ১১১ মিমি (৪.৪ ইঞ্চি) বৃষ্টি হয়েছে। গত দুই বছরে তার বার্ষিক বৃষ্টিপাতের এক তৃতীয়াংশ হয়েছে মাত্র দুই দিনে।


সানলিউরফা গভর্নর, সালিহ আয়হান (Salih Ayhan) বলেছেন, তার প্রদেশ এমন বন্যা দেখেনি এবং কর্মকর্তারা বাসিন্দাদের বাড়ির নিচতলা এবং বেসমেন্ট খালি করার জন্য আবেদন করেছেন।


একটি বেসমেন্ট অ্যাপার্টমেন্টে পাঁচজনের মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে এবং তুরস্কের মিডিয়া বলছে তারা সিরিয়ান।


প্রধান আবিদ রোড মোড়ের একটি আন্ডারপাস থেকেও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।


বন্যার জলের স্রোত বেশ কিছু মানুষের যানবাহন ভাসিয়ে নিয়ে গিয়েছে এবং যারা এই জানবাহনে আটকে পড়া মানুষদের সাহায্য করার চেষ্টা করেছিল তারাও নিজেরাই ভেসে গিয়েছেন।


আরও পড়ুন: World Consumer Rights Day: বিশ্বজোড়া বেচাকেনার হাটে কেন ১৫ মার্চ তারিখটি শুধু ক্রেতাদেরই দিন?


সানলিউরফাতে একজন লোককে বাড়ির নীচতলার জানালা থেকে দড়ি ঝুলিয়ে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে টরেন্ট থেকে টেনে বের করার নাটকীয় ফুটেজে উঠে এসেছে। একই রকম উদ্ধার অভিযান আবিদে মোড়েও হয়েছিল।


গভর্নর বলেছেন নিখোঁজদের মধ্যে দুজন ছিলেন অগ্নিনির্বাপক। তিনি বাসিন্দাদের জলের স্রোত থেকে দূরে থাকার জন্য আবেদন করেছিলেন। একটি হাসপাতাল প্লাবিত হয়েছে এবং ২০০ রোগী অন্যত্র সরে গিয়েছে।


সপ্তাহের শেষের দিকে আরও বৃষ্টি নামবে বলে জানানো হয়েছে।


তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোগান (Recep Tayyip Erdogan), যিনি গত মাসের ভূমিকম্পের পর থেকে টানা লড়াই করছেন তিনি ১৪ মে নির্বাচনের মুখোমুখি হচ্ছেন। তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুলেমান সোয়লুকে (interior minister Suleyman Soylu) বন্যা অঞ্চলে পাঠিয়েছেন।


নেতৃস্থানীয় বিরোধী ব্যক্তিত্বরাও Sanliurfa পরিদর্শন করবেন বলে জানা গিয়েছে। বাসিন্দাদের জরুরী প্রয়োজন মেটাতে সাহায্য করার অঙ্গীকার করেছেন তাঁরাও।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)