নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তান থেকে ব্যবসা গুটিয়ে নিতে পারে গুগল, ফেসবুক, টুইটারের মতো সংস্থা! এমন হুঁশিয়ারিতে তোলপাড় পাকিস্তান। বিপাকে ইমরান খান সরকারও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কেন হুঁশিয়ারি! সম্প্রতি পাকিস্তান সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যে কোনও ডিজিটাল কনটেন্ট সেন্সর করা হবে। পাকিস্তানের মতো ইসলামি দেশে বাকস্বাধীনতার চূড়ান্ত স্বাধীনতা থাকতে পারে না। বুধবার ওই সেন্সর করার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে এক সরকারি সংস্থাকে।


আরও পড়ুন-শুভেন্দু-সৌগত সহ দলে আসছেন ৫ TMC সাংসদ : অর্জুন, মরে যাব তবু BJP-তে না : সৌগত


এনিয়ে এবার আসরে নেমেছে এসিয়া ইন্টারনেট কোয়ালিশন(AIC)। এই সংস্থার সদস্য হল গুগল, ফেসবুক, টুইটার-সহ অন্যান্য ডিজিটাল প্লাটফর্মগুলি। AIC তরফে টুইটারে এক বিবৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, ইন্টারনেট কোম্পানিগুলিকে যেভাবে পাকিস্তান সরকার নিশানা করেছে তাতে আমরা শঙ্কিত। সরকারের অস্বচ্ছ পদ্ধতির সেন্সর নিয়ম চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
 
উল্লেখ্য, এক সময়ে পাকিস্তানে নিষিদ্ধ করা হয়েছিল TiKTok। সংস্থা তার কনটেন্ট সেন্সর করবে এই প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পর তা আবার পাক সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিরছে। পাকিস্তান সরকার সাফ জানিয়ে দিয়েছিল, এমন কোনও বিষয়বস্তু প্রচার করা যাবে না যা ইসলাম বিরোধী, সন্ত্রাসবাদের সমর্থক, পর্নগ্রাফি বা জাতীয় নিরাপত্তার পক্ষে ক্ষতিকর।



আরও পড়ুন-মেশিন ত্রুটিতে বিস্ফোরণ তত্ত্ব থেকে সরে আসল ফরেনসিক টিম, সুজাপুর কাণ্ডে অব্যাহত ধোঁয়াশা


AIC তরফে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান সরকার কনটেন্ট সেন্সর করার যে পদ্ধতির কথা বলছে তাতে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিকভাবে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারবে না। এর ফলে পাকিস্তানের সঙ্গে অন্যান্য দেশের ডিজিটাল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাবে। এভাবে চললে AIC-র সদস্যদের পক্ষে পাকিস্তানিদের জন্যে পরিষেবা দেওয়া অসম্ভব হয়ে পড়বে।


AIC-র ওই বিবৃতির পর ইমরান খান সরকার এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া দেয়নি। প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে আগেই ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়েছিল যে, বলা সত্বেও অনলাইন থেকে পাকিস্তান বিরোধী, অশ্লীল ও জাতিবিদ্বেষমূলক পোস্ট দেরি করে সরাচ্ছে একাধিক সোশ্যাল মিডিয়া। তার পরেই এই নতুন নিয়ম জারি করে পাকিস্তান সরকার।