নিজস্ব প্রতিবেদন : মেয়ে। তাই ছোট বয়স থেকে আটকাতে হবে তার যৌন কামনা। আর সেই জন্য ছোট বয়সেই কেটে বাদ দেওয়া হল যৌনাঙ্গ। শুধুমাত্র কুসংস্কারের কারণেই প্রাণ হারাল ১২ বছরের এক কিশোরী। মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ মিশরের আসিয়ুত প্রদেশে। মা-বাবাই নাকি ওই কিশোরীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন। যৌনাঙ্গ কেটে ফেলার পর অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণেই মৃত্য়ু হয় কিশোরীর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এই ঘটনার পরই শুক্রবার কিশোরীর বাবা-মাসহ চিকিৎসকের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি হয়। মিশরের সমাজকর্মীদের দাবি, এই ঘটনা নতুন কিছু নয়। বহু দিন ধরে মিশর ও মধ্য় প্রাচ্য়ের শহরগুলিতে মুসলিম সম্প্রদায়ের মহিলাদের যৌনাঙ্গছেদের প্রথা চলে আসছে। তাদওয়েইন জেন্ডার স্টাডি-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর আমেল ফাহমি জানিয়েছেন, ভবিষ্যতে মিশরের আরও অনেক নাবালিকারও একই  অবস্থা হতে পারে। কারণ রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে এই নারকীয় প্রথা রুখতে এখনও কোনও বড়সড় পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। আইনে এই প্রথা অপরাধের চোখে দেখা হলেও বিচার বিভাগ মহিলাদের যৌনাঙ্গচ্ছেদ -কে অপরাধ হিসাবে দেখে না বলে দাবি তাঁর। 


আরও পড়ুন-  চিন থেকে করোনা ছড়িয়ে ভারত-মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ ১৮ দেশে আক্রান্ত ১০০


২০০৮ সালে মিশরের সংসদে মহিলাদের যৌনাঙ্গছেদের প্রথা নিষিদ্ধ আইন বলে ঘোষণা করা হয়। ২০১৬ সালে এই আইনে কঠোর সাজার কথাও ঘোষণা করা হয়। কিন্তু আইন তৈরি হলেও অবস্থার পরিবর্তন হয়নি। ২০১৫ সালে সরকারি সমীক্ষা অনুযায়ী, ১৫-৪৯ বছর বয়সী মিশরীয় মহিলাদের যৌনাঙ্গছেদের ঘটনা প্রায়ই দেখতে পাওয়া যায়।