নিজস্ব প্রতিবেদন: বিদেশের মাটিতে বসে জালিয়াতি। সাজা হল মারাত্মক। গোয়ার দুই তরুণকে ৫০০ বছরের কারাদণ্ড দিল দুবাইয়ের এক আদালত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দুবায়ে বসে পনজি স্কিম খুলে বেশ কিছুদিন ধরেই লোক ঠকাচ্ছিল গোয়ার বাসিন্দা সিডনি লেমস ও তার অ্যাকাউন্টট্যান্ট রায়ান ডিসুজা। তাঁরা একটি কোম্পানি খুলে লোকজনকে বোঝানোর চেষ্টা করে, তার কোম্পানিতে ২৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ করলে বছরে ১২০ শতাংশ ফেরত পাওয়া ‌যাবে। ঠিক সারদা বা রোজভ্যালির মতো এভাবেই চলছিল। বছরখানেক গ্রাহকরা টাকা ফেরত পেলেও ২০১৬ সাল থেকে আর কোনও টাকা ফেরত দিচ্ছিল না সিডনির কোম্পানি।


আরও পড়ুন-ঘণ্টায় ৫০৫৯টি টয়লেট তৈরি হয়েছে বিহারে! প্রধানমন্ত্রীকে খোঁচা তেজস্বীর


সম্প্রতি এক গ্রাহক অভি‌যোগ করেন বিনিয়োগ করা সত্বেও বছরের শেষে তিনি কোনও টাকা ফেরত পাননি। এনিয়ে তদন্তে নামে দুবাই ইকোনমিক ডিপার্টমেন্ট। ২০১৬ সালে তাদের প্রথমবার গ্রেফতার করা হয়। পরে জামিনে মুক্তিও পেয়ে ‌যায় দুই জালিয়াত। গত বছর জানুয়ারি মাসে ফের গ্রেফতার করা হয় সিডনি ও রায়ানকে।


এদিকে, সিডনির স্ত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা করেছে দুবাই পুলিস। তাঁর বিরুদ্ধে সিডনির কোম্পানির নথি সরিয়ে ফেলার অভি‌যোগ আনা হয়েছে। তাঁরে গ্রেফতার করা হতে পারে।


আরও পড়ুন-অ্যাক্রোপলিস মলের সামনে মিনিবাসের ধাক্কা মার্সিডিজ, অটোতে! মৃত ১, আহত ৮


সিডনির কোম্পানির সম্পত্তি রয়েছে দুবাই, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ভার্জিন আইল্যান্ড, মার্কিন ‌যুক্তরাষ্ট্রে। সেসব সম্পতিও বাজেয়াপ্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই কোম্পানির ২৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সিল করে দিয়েছে পুলিস।


২০১৫ সালে প্রথম প্রচারের আলোয় চলে আসে সিডনি। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে তিনি হয়ে ‌যান এফসি গোয়ার প্রধান পৃষ্টপোষক। সচিনের মতো ক্রিকেটার থেকে শুরু করে জিকো, নেইমারের মতো ফুটবলারের সঙ্গে তাঁর ঘনিষ্ঠতার কারণে সিডনি প্রায়ই খবরের শিরোনামে চলে আসতেন। এবার বাকী জীবন হয়তো তার জেলেই কাটবে সিডনির।