Hitler`s Childhood Home: `মানবাধিকারের মৃত্যু` যাঁর হাতে সেই হিটলারের বাড়িতেই `হিউম্যান রাইটস সেন্টার`?
Hitlers Childhood Home: ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ব্রাউনাউ আম ইন শহরের বাড়িটিতে জন্ম নেন হিটলার। ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির নাৎসি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তিনি। বাড়িটি নিয়ে কট্টরপন্থীদের উদ্বেগের জেরে এক বিশেষজ্ঞ কমিশনের সুপারিশ মেনে সেটিকে শেষ পর্যন্ত মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: অ্যাডলফ হিটলার অস্ট্রিয়ার যে বাড়িতে জন্মেছিলেন সেটিকে পুলিস কর্মকর্তাদের জন্য মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণকেন্দ্রে রূপান্তরিত করা হবে বলে জানা গিয়েছে। সম্প্রতি অস্ট্রিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ কথা ঘোষণা করেছে। ১৮৮৯ সালের ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ব্রাউনাউ আম ইন শহরে ওই বাড়িটিতে জন্ম নেন হিটলার। শহরটি ভিয়েনা থেকে ২৮৪ কিলোমিটার পূর্বে। ইতিহাস বলছে, হিটলারের জন্মের আগেই তিনতলা ওই ভবনের মালিকানা গারলিন্দে পোমার নামের এক ব্যক্তির পরিবারের হাতে চলে যায়। পরে হিটলারের বয়স যখন তিন বছর, তখন তাঁর পরিবার সেখান থেকে চলে যায়।
আরও পড়ুন: North Korea: বাড়িতে বাইবেল থাকলেই মৃত্যুদণ্ড? যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দু'বছরের শিশুর...
অ্যাডলফ হিটলার ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত জার্মানির নাৎসি বাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ১৯৩৯ সালে পোল্যান্ড আক্রমণের মধ্য দিয়ে হিটলার দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করেছিলেন। ১৯৪৫ সালের ৩০ এপ্রিল বার্লিনে তাঁর আত্মহত্যার মধ্য দিয়ে সেই মহাযুদ্ধ শেষ হয়।
হিটলারের বাড়িটি নিয়ে প্রথম থেকেই বিপুল বিতর্ক ছিল। ২০১১ সাল থেকে ভবনটি খালি পড়ে ছিল। ২০১৬ সালে অস্ট্রিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভবনটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। রাজনীতিবিদ ও ইতিহাসবিদদের প্রতিবাদের মুখে ওই সিদ্ধান্ত থেকে পরে সরে আসে সরকার। ওই বছরেই অস্ট্রিয়া সরকার বাড়িটির মালিকানা নিজের হাতে নেয়। ২০১৯ সালের শেষের দিকে বাড়িটিতে পুলিস স্টেশন স্থাপন করা হয়। তবে পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, বাড়িটি নিয়ে কট্টরপন্থীদের উদ্বেগের জেরে এক বিশেষজ্ঞ কমিশনের সুপারিশ মেনে সেটিকে শেষ পর্যন্ত মানবাধিকার বিষয়ক প্রশিক্ষণকেন্দ্র করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Global Slavery Index: বিশ্বে ৫ কোটি দাস! দাসপ্রথা তাহলে আজও বিদায় নেয়নি পৃথিবী থেকে?
হিটলারের বাড়িটি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে পরিণত করতে যে নির্মাণকাজ করতে হবে সেই বাবদ খরচ ধরা হয়েছে ২ কোটি ১৫ লাখ ডলার। ২০২৫ সালের মধ্য এই নির্মাণকাজ শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।