North Korea: বাড়িতে বাইবেল থাকলেই মৃত্যুদণ্ড? যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দু'বছরের শিশুর...

North Korea: একটি দেশ ঈশ্বরে অবিশ্বাসী হতেই পারে। কিন্তু ব্যক্তির আস্তিক্য-ভাবনায় কেন বাধ সাধবে রাষ্ট্র? অথচ, তেমনই হচ্ছে উত্তর কোরিয়ায়। সেখানে কারও বাড়িতে বাইবেল পাওয়া গেলে তাঁদের সরাসরি মৃত্যুদণ্ড অন্যথায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড। এই ভয়ংকর ছবি তুলে ধরেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এক সমীক্ষা।

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কেন এ অন্ধদিন, বন্ধ দিন? প্রায় সমস্ত স্বাধীনচেতা মানুষের এমনই প্রশ্ন। বাড়িতে ছিল বাইবেল (Bible)। সেই অপরাধেই মা-বাবা-সহ দুবছরের সন্তানকে দেওয়া হয়েছে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ। এমন অদ্ভুতুড়ে কাণ্ড ঘটেছে উত্তর কোরিয়ায় (North Korea)! আমেরিকার তরফে ২০২২ সালের আন্তর্জাতিক ধর্মীয় স্বাধীনতা সংক্রান্ত একটি রিপোর্ট (US State Department’s International Religious Freedom Report 2022) প্রকাশ করা হয়েছে। সেই রিপোর্টেই দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ার জেলে রাখা হয়েছে প্রায় ৭০ হাজার খ্রিস্টানকে!

কেন উত্তর কোরিয়ায় এমন একুশে আইন?

আসলে এক নাস্তিক দেশ হিসেবেই পরিচিত উত্তর কোরিয়া। তাই সেদেশে কোনও ব্যক্তিরই স্বাধীন ধর্মাচরণে অধিকার নেই। রাষ্ট্র সেই অধিকার দেয় না তার দেশের মানুষকে। বরং কাউকে ধর্মাচরণ করতে দেখলে তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে তারা। শুরু করে নানা রকম শাস্তিমূলক কার্যপ্রক্রিয়া। সাম্প্রতিক কালে একাধিক আন্তর্জাতিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, উত্তর কোরিয়ায় থাকা খ্রিস্টানদের সঙ্গে নিষ্ঠুর আচরণ করছে সে দেশের সরকার। কিম জং উন সরকারের এই আচরণে সমালোচনার ঝড় উঠেছে বিশ্ব জুড়ে। 

কিন্তু সেই সমালোচনাকে পাত্তা দেয় না উত্তর কোরিয়া। তাই কারও ঘরে বাইবেল দেখা গেলে, কাউকে খ্রিস্টধর্মবিশ্বাসী বলে মনে হলে, কেউ সরাসরি খ্রিস্টান হলে তাকে ছেড়ে কথা বলে না কিম জন উনের সরকার। 

আমেরিকার ওই রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, যাঁরা এই ধরনের ঘটনায় ধরা পড়েছেন এবং জেলে গিয়েছেন তাঁদের জেলেও নানা রকম নির্যাতনের শিকার হতে হচ্ছে। কখনও তাঁদের খেতে দেওয়া হচ্ছে না, কখনও ঘুমোতে দেওয়া হচ্ছে না, কখনও হাত-পা বেঁধে রেখে দেওয়া হচ্ছে। চলছে নানারকম শারীরিক নির্যাতন। মানসিক নির্যাতনও।