জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ডেস্ক: ভয়ঙ্কর! মাঝসমুদ্রে পর্যটকদের বোটে ঝাঁপিয়ে পড়ল তিমি! লেজের ঝাপটায় আহত হলেন ৪ জন। কীভাবে ঘটল এমন কান্ড? ভিডিয়ো ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

সমুদ্র জলে ঘুরে বেড়ায় হাম্পব্যাক তিমির দল। কেমন তাদের জীবনযাত্রা? কীভাবেই বা শিকার করে তিমি? তা দেখতে দেশ-বিদেশ থেকে পর্যটকরা ভিড় জমান ক্যালিফোর্নিয়ার স্যান লুইস ওবিস্পো বে-তে। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি।


ভিজিয়ো দেখা যাচ্ছে, একটি বোটে চেপে স্যান লুইস ওবিস্পো বে-তে তিমির শিকার ধরা দেখছিলেন ৪ পর্যটক। আচমকাই জল থেকে উপরের দিকে লাফ দেয় একটি তিমি। এরপর সোজা বোর্টে গিয়ে পড়ে স্তন্যপায়ী বিশালাকার প্রাণীটি! সংঘর্ষে তীব্রতা এতটাই ছিল যে, বোর্টটি প্রায় সমুদ্রে ডুবেই যাচ্ছিল। বোটের ছাদ ও রেলিং ভেঙে যায়। 


 




কোনওরকমে প্রায়ে বেঁচে গিয়েছেন। তবে, গুরুতর আহত বোর্ডের থাকা চার পর্যটক। একজনের পা ভেঙেছে, আর একজনের পাঁজর। এমনকী, আঘাত লেগেছে আঘাত। ওই চারজনকেই ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে। কর্তৃপক্ষের দাবি, বোটটিকে তিমির খুব কাছে নিয়ে চলে গিয়েছিলেন চালক। তারজেরে এই দুর্ঘটনা। বোর্টে থাকা এক পর্যটক জানিয়েছেন, 'আমাদের খুব কাছে তিমি ঘোরাফেরা করছিল। তার পরই দেখলাম হঠাৎ জল থেকে কয়েক ফুট উঁচুতে উঠে গিয়েছি। তার পরই সব অন্ধকার। তিমির মুখটা বন্ধ হচ্ছিল, আর আমরা ভিতরে চলে যাচ্ছি! খুব কাছ থেকে যেন মৃত্যু দেখছিলাম'। 


করোনা আতঙ্ক তখন জাঁকিয়ে বসেছে গোটা বিশ্বে। জাপানে তিমি মাংস বিক্রি রেকর্ড হারে কমে গিয়েছিল। শুধু তাই নয়, আইসল্যান্ডের দুটি সংস্থার মধ্যে একটি তিমি শিকারও পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছিল। ফলে বেঁচে গিয়েছিল কয়েক হাজার তিমির প্রাণ। বস্তুত বেশ কয়েক বছর ধরেই তিমি শিকার বন্ধ ছিল আইসল্যান্ডে। কিন্তু ২০০৩ সালে র ‘বৈজ্ঞানিক স্বার্থ’ দেখিয়ে শুরু হয় তিমি শিকার। কোন প্রজাতির তিমি শিকার করা হয় আইসল্যান্ডে? মূলত ‘মিনকি’ এবং লুপ্তপ্রায় ‘ফিন’ প্রজাতির তিমি। ফলে রেকর্ড হারে কমছিল অনেক লুপ্তপ্রায় প্রজাতির তিমির সংখ্যা। পরিবেশ দূষণ ও জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিপদ আরও বেড়েছে তিমির