জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সন্ন্যাসীপুত্রের সঙ্গে যৌনতায় মেতেছিলেন মা। ধরে ফেললেন বাবা! সিনেমা নয়, গল্পও নয়, গল্পের মতো শোনালেও তা ঘোর সত্য। ৪৫ বছরের এক মহিলা রাজনীতিক। স্বামীর সঙ্গে আলোচনা করে দত্তক নেন এক যুবককে। যিনি আবার সন্ন্যাসী, বয়স ২৪ বছর! এহেন সন্ন্যাসীপুত্রের সঙ্গেই যৌনতায় মেতেছিলেন রাজনীতিক ওই মা। আর তাঁদের আপত্তিকর অবস্থায় হাতে-নাতে ধরে ফেলেন স্বয়ং স্বামীই। ঘটনাটি ঘটেছে থাইল্যান্ডে। সোশ্যাল মিডিয়ায় আগুনের মতো ছড়িয়ে পড়ে এ খবর। আর তা ছড়িয়ে পড়তেই হইচই পড়ে যায় গোটা থাইল্যান্ডে, চমকে ওঠে বাকি বিশ্বও! 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Kenyan Floods: এল নিনোর জেরে হওয়া প্রবল বৃষ্টি ডেকে এনেছে ভয়াবহ এক প্লাবন! প্রায় ২০০ মৃত্যু, নিখোঁজ ২ লক্ষ...


২৪ বছর বয়সী ফ্রা মাহাকে এক বছর আগে দত্তক নেন এই দম্পতি। ফ্রা মাহা একজন বৌদ্ধ সন্ন্যাসী। স্বামীর অভিযোগ ছিলই যে, তাঁদের দত্তকপুত্র ওই যুবা সন্ন্যাসীর সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। অভিযুক্ত মহিলা রাজনীতিকের নাম প্রপাপর্ন চোয়েইওয়াদকোহ। মধ্য থাইল্যান্ডের সুখোথাইয়ের একজন বেশ জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ তিনি। জানা গিয়েছে, ফ্রা মাহার জন্য অত্যন্ত কষ্ট বোধ হয়েছিল চোয়েইওয়াদকোহের। এর পরেই তিনি ফ্রা-কে দত্তক নেওয়ার কথা ভাবেন। এবং দ্রুত ওই দম্পত্তি ফ্রা-কে দত্তকও নেন। সেই সেই প্রথম থেকেই তাঁর স্ত্রী চোয়েইওয়াদকোহের সঙ্গে দত্তক নেওয়া বৌদ্ধ সন্ন্যাসীর অবৈধ সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে সন্দেহ করেছিলেন স্বামী টি।


কেন টি'র এমন মনে হল? 


টি জানিয়েছেন, তিনি দেখতে পাচ্ছিলেন, তাঁর স্ত্রী এবং তাঁদের দত্তক সন্তানের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা যেন ক্রমশ বাড়ছিল। মা-ছেলের মধ্যে সম্পর্ক তো তৈরি হবেই, ঘনিষ্ঠতাও থাকবে, তাই বলে তার ধরন-ধারণ ঠিক এরকম নয় বলেই মনে হয়েছিল টি'র। কেননা, অনেক সময়ই ফ্রা মাহার ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিতেন চোয়েইওয়াদকোহ। এদিকে অনেকক্ষণ দরজা বন্ধ দেখে তিনিও দরজায় ধাক্কা দিতেন। কিন্তু তাঁরা দরজা খুলতেন না। তখন থেকেই কেমন একটা সন্দেহ দানা বাঁধে তাঁর মনে। যদিও দীর্ঘক্ষণ পরে সন্ন্যাসী-পুত্রের ঘর থেকে বেরিয়ে এসে মা চোয়েইওয়াদকোহ নির্বিবাদে বলে দিতেন, তিনি তাঁর বৌদ্ধ সন্ন্যাসী পুত্রের সঙ্গে প্রার্থনায় যোগ দিয়েছিলেন।


কিন্তু সেই 'প্রার্থনা' নিয়ে টি'র মনে ক্রমশ ঘোর রহস্য তৈরি হয়। তিনি তক্কে তক্কে ছিলেন। ঘটনার দিন টি অন্যত্র ছিলেন। সেখান থেকে তিনি স্ত্রীকে ফোন করেছিলেন। বারবার ফোন করার পরেও স্ত্রীর তরফে কোনও সাড়া না মেলায় সন্দেহ গাঢ় হয় তাঁর। তিনি টানা ৫ ঘণ্টা গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফেরেন। আর বাড়ি ফিরেই ছেলের ঘরে গিয়ে তাঁর স্ত্রী-পুত্রের 'প্রার্থনা'র বহর দেখে আঁতকে ওঠেন। মাথা গরম হয়ে যায় তাঁর। ওঁরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই তিনি তাঁর মোবাইল ক্যামেরা 'অন' করেন এবং ঝটিতি চাদর সরিয়ে নগ্ন স্ত্রী ও পুত্রকে অনাবৃত করে তাঁদের ভিডিয়ো তুলতে থাকেন। এবং সেটি দ্রুত সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টও করেন। 


আরও পড়ুন: Saudi Flood: বন্যার তোড়ে বিকল দেশ! ক্লাস 'অনলাইনে', অফিস 'ওয়ার্ক-ফ্রম-হোম', মেট্রো নেই, বাতিল উড়ানের পর উড়ান...


ঘটনার জেরে বৌদ্ধ সন্ন্যাসীপুত্র পালিয়ে যান। মা অবশ্য ঘটনার অন্য ব্যাখ্যা দেন। বলেন, তাঁরা আসলে একটা বিষয় নিয়ে আলোচনা করছিলেন। এবং একটু পরেই তাঁরা স্নানে যেতেন বলে তাঁদের গায়ে কোনও পোশাক ছিল না। এর সঙ্গে যৌনতার কোনও সম্পর্ক নেই! সে-তিনি যা-ই বলুন, আপাতত সেটা নিয়ে নানা মন্তব্য চলছে। স্বামী টি বলেছেন, তাঁর মনে হয়েছে, তিনি প্রতারিত হয়েছেন, তাই তিনি মাথা গরম করে ফেলে এই কাজটি করেন!


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)