নিজস্ব প্রতিবেদন- নিজেদের দখলে রাখা ভারতীয় ভূখণ্ড গিলগিট-বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশের মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল পাকিস্তানের সরকার। আর এবার সেই সিদ্ধান্তে সীলমোহর দিতে গিলগিট-বালটিস্তান পৌঁছলেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। সেখানে তিনি একাধিক প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন। গিলগিট-বালটিস্তানকে নতুন প্রদেশ হিসাবে ঘোষণা করার বিরোধিতা করেছিল ভারতের বিদেশমন্ত্রক। কিন্তু ইমরানের সরকার তাতে কান দেয়নি। পাকিস্তানের মন্ত্রী আলি আহমেদ গণ্ডাপুর অক্টোবর মাসের গোড়াতেই জানিয়েছিলেন, খুব শিগগির সেখানে ইমরান খান সফর করবেন। নদী বাঁধ থেকে শুরু করে তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র, পাক অধিকৃত কাশ্মীরের একের পর এক প্রকল্পের শিলান্যাস করলেন ইমরান খান। আচমকা সফরে সেখানে গেলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। আবার ভারত-বিরোধী বক্তৃতাও দিলেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গিলগিট-বালতিস্তানকে পাকিস্তানের নতুন প্রদেশ হিসাবে মর্যাদা দেওয়ার সিদ্ধান্ত যে পাক সেনাবাহিনী ও চিনের চাপে তা মোটামুটি স্পষ্ট। ইমরান খান মুখে যাই বলুন না কেন, তিনি আদতে পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল। এমন দাবী পাকিস্তানের বিরোধী নেতৃত্ব বারবার করেছে। পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজোয়ারের পরামর্শ মেনে এর আগেও ইমরান খান একাধিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। আর এবার গিলগিট-বাল্টিস্তানকে পাকিস্তানের পঞ্চম প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করার ব্যাপারেও যে সেনাবাহিনীর প্রত্যক্ষ মদত রয়েছে তা বলাই যায়। পাকিস্তানের এই অঞ্চলে বেশ কিছু খনির পরিচালনা করে চিন। আর তাই গিলগিট-বালটিস্তানে কোনওরকম অশান্ত চায় না তারা। তা ছাড়া এই অঞ্চলের কারাকোরাম সড়কপথ পণ্য সরবরাহের জন্য ব্যবহারও করতে চায়  চিন।


আরও পড়ুন-  ভয় পাওয়াচ্ছে আমেরিকা, প্রতি সেকেন্ডে একজনের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে করোনায়


রবিবার ইমরান খান বললেন, ''পাকিস্তানে শিয়া ও শুন্নি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঝামেলা বাঁধানোর চেষ্টা করছে ভারত। পাকিস্তানের সরকার সব সময় অনুন্নত জায়গার মানুষদের ভাল চায়। গিলগিট-বালটিস্তানে এবার উন্নয়ন হবে। আপনারা বিশ্বাস রাখুন। ভারতে এখন কট্টর হিন্দুত্ববাদী সরকার রয়েছে। কিন্তু পাকিস্তানের সেনার তত্পরতার জন্য ভারত আমাদের কোনও ক্ষতি করতে পারছে না। আমরা বহুদিন ধরেই গিলগিটের মানুষের হিত করার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছি। শেষ পর্যন্ত এখানকার মানুষের জন্য কিছু করার সুযোগ পেলাম।''