নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটদান শেষ হয়নি, তার আগেই জয়ের স্বাদ পেয়ে গিয়েছেন ইমরান খান। বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনে জয়ের ঘোষণা করলেন প্রাক্তন ক্রিকেটার। বললেন, সামনে থেকে পরমাণু শক্তিধর রাষ্ট্রকে নেতৃত্ব দিতে রাজি তিনি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ক্রিকেট অধিনায়ক, প্লেবয় থেকে দুর্নীতিবিরোধী মসিহা। সেখান থেকে পাকিস্তানের মসনদের 'সুলতান' হতে চলেছেন পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক। ক্রিকেট মাঠে কীর্তি গড়ার পর এবার রাজনীতির ময়দানেও নিজের জাত চেনালেন ৬৫ বছরের যুবক। অথচ এই সেদিনও পাকিস্তানের রাজনীতিতে 'বিচ্ছিন্ন' হিসেবেই গণ্য হচ্ছিলেন ইমরান খান। কিন্তু ২২ বছরের পরিশ্রমের পর তাঁর উপরে ভরসা রাখলেন পাক নাগরিকরা। যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, ব্যালটে ব্যাপক রিগিং করেছে ইমরানের দল। তাঁকে জেতানোর নেপথ্যে রয়েছে দেশের সেনা ও আইএসআই। তবে সেই সব অভিযোগ খণ্ডন করেছেন পিটিআই প্রধান। ইমরানের কথায়, ''সন্ত্রাসী হামলা সত্ত্বেও সফলভাবে চলেছে নির্বাচনী প্রক্রিয়া। নিরাপত্তাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানাই। পাকিস্তানের শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রত্যক্ষ করলাম আমরা''।        



পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে ইমরান খান বলেন, ''২২ বছর ধরে পরিশ্রম করেছি। নিজের স্বপ্নপূরণ দেশ সেবার সুযোগ দেওয়ার জন্য ইশ্বরকে ধন্যবাদ''। একইসঙ্গে ইমরান জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রীর জন্য বরাদ্দ আবাসে তিনি থাকবেন না। তাঁর কথায়, ''জনতার করের টাকা বাঁচাবো। প্রধানমন্ত্রীর এত বিশাল নিবাসে থাকব না, ছোট জায়গা দেখছি''।





ইমরান খান মসনদে বসলে ভারত-পাকিস্তানের অশান্তি আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা। সেই আশঙ্কায় জল ঢেলে ইমরান বলেন, ''আমাকে নিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম যা বলছে তা অমূলক। যে সব পাকিস্তানিরা ভারতের সঙ্গে সুসম্পর্ক চান, তার মধ্যে আমিও রয়েছি। দারিদ্রমুক্ত উপমহাদেশ চাইলে দু'দেশের মধ্যে সম্পর্ক ভাল করতে হবে। মজবুত করতে হবে বাণিজ্যিক বন্ধন''। এর পাশাপাশি কাশ্মীর সমস্যার সমাধান আলোচনার মাধ্যমেই করতে চান ইমরান খান। তাঁর কথায়, ''দীর্ঘদিন ধরে অশান্ত কাশ্মীর। আলোচনার টেবিলে বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। ভারতীয় নেতৃত্ব রাজি থাকলে আমি আলোচনায় বসতে প্রস্তুত''।  




এদিন পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছভাবে ভোটগ্রহণ হয়েছে। প্রচুর মানুষ ভোট দিয়েছেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হবে। ৯০ শতাংশ ফলঘোষণাই হয়ে গিয়েছে। 




নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোটের দাবি করলেও রিগিংয়ের অভিযোগে সরব হয়েছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। তাদের অভিযোগ, বিভিন্ন ভোটগণনা কেন্দ্রে তাদের এজেন্টদের তাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। কোথাও আবার হাতে লিখে জানানো হয়েছে ফল। নওয়াজের ভাই শেহবাজ শরিফের দাবি, রিগিং করে জনাদেশের অপমান করা হয়েছে। ইমরানকে জেতাতে সেনা সাহায্য করেছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। যদিও এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে পাক সেনা।


আরও পড়ুন- নওয়াজ় ‘ব্যর্থ’ ক্রিকেটার, আজও ফিরলেন শূন্য হাতে!