নিজস্ব প্রতিবেদন: অনুচ্ছেদ ৩৭০ বিলোপ নিয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে খালি হাতেই ফিরতে হল পাকিস্তানকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পর রাশিয়াও জানিয়ে দিল, দেশের সংবিধান মেনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও এব্যাপারে কোনও মন্তব্য করেনি। রাষ্ট্রসঙ্ঘেও ধাক্কা খেয়েছে ইসলামাবাদ। এমনকি পাকিস্তানের পরম বন্ধু চিনও পাশে নেই ইমরান খানের। এমনকি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহির মতো ইসলামিক দেশকেও পাশে পায়নি পাকিস্তান। ভারতের বিরুদ্ধে জোরালো প্রতিক্রিয়ার আশায় এত চেষ্টা করেও ফল পেলেন না ইমরান খান।            


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জম্মু-কাশ্মীর থেকে অনুচ্ছেদ ৩৭০ প্রত্যাহারের পর থেকে ফুঁসছে ইসলামাবাদ। ইমরান খান চেয়েছিলেন রাষ্ট্রসঙ্ঘ ও আন্তর্জাতিক মহলের হস্তক্ষেপ চেয়ে ভারতের উপরে চাপ বাড়াতে। কিন্তু চূড়ান্ত ব্যর্থ হলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। কোনও সমর্থনই জোটাতে পারল না পাকিস্তান। শুক্রবারই কাশ্মীর ইস্যুতে মধ্যস্থতার প্রশ্ন উড়িয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। রাষ্ট্রসঙ্ঘের হস্তক্ষেপ চেয়ে পাক-প্রধানমন্ত্রীর অনুরোধ খারিজ করে দেন মহাসচিব অ্যান্তেনিও গুতেরেস। স্পষ্ট জানান, কাশ্মীর দ্বিপাক্ষিক বিষয়। ১৯৭২ সালের সিমলা চুক্তিতে ঠিক সেটাই লেখা আছে।              



রাশিয়া বরাবরই ভারতের বন্ধু রাষ্ট্র। এর পাশাপাশি ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে অত্যন্ত সুসম্পর্ক নরেন্দ্র মোদীর। প্রত্যাশিতভাবেই ভারতের পাশে দাঁড়িয়েছে রাশিয়া।শনিবার রুশ বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি জারি করে জানিয়েছে, দেশের সংবিধান মেনে জম্মু ও কাশ্মীরে পরিবর্তন করেছে ভারত সরকার। দ্বিপাক্ষিক আলাপ আলোচনার মধ্যে দিয়েই ভারত ও পাকিস্তানের দ্বন্দ্ব মিটিয়ে নেওয়া সম্ভব। 


মার্কিন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে বিবৃতি দিয়েছেন দফতরের মুখপাত্র মরগান ওরতেগাস। ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে যা হচ্ছে তা নজরে রাখছি আমরা। জম্মু ও কাশ্মীরকে ভাগ করা ও তাদের সাংবিধানিক অধিকার বিলোপ করার বিষয়টি নজরে রয়েছে।’ মার্কিন সেনেটের বৈদেশিক সম্পর্ক সংক্রান্ত কমিটির সদস্য রবার্ট মেনেন্দেজ এবং হাউসের বিদেশ বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান ইলিয়ট এঞ্জেলের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ভারতের বিরুদ্ধে যে কোনও ধরনের আগ্রাসন থেকে পাকিস্তানের দূরে থাকা উচিত। এর মধ্যে জঙ্গি অনুপ্রবেশে মদত দেওয়া বন্ধ করা এবং দেশের মাটিতে সন্ত্রাসবাদীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ-দুটি বিষয়ই রয়েছে। 


মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যযুদ্ধে কোণঠাসা চিনও আর ভারতের সঙ্গে শত্রুতা বাড়াতে চায় না। ভারতের বড় বাজারের দিকে চেয়েই ইমরানের পাশে দাঁড়ায়নি চিন। দুই দেশকে সংযম দেখাতে বলেই ক্ষান্ত হয়েছে তারা।


বহু রাষ্ট্রনেতাকে নিজে ফোন করে নালিশ করেছেন ইমরান। কিন্তু সমর্থন মেলেনি।  মালয়েশিয়ার মাহতির মহম্মদকেও ফোন করেছিলেন ইমরান। কিন্তু ভারতকে চটাতে চায় না মালয়েশিয়া। তুরস্কের রিসেপ তাইপ এর্দোগানও ইমরানের কথায় ভারত বিরোধী মন্তব্যে রাজি হননি। সংযুক্ত আরব আমিরশাহি জানিয়ে দিয়েছে, কাশ্মীরে ভারত যা করেছে তা তাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। এমনকি সৌদি আরব পর্যন্ত জানিয়ে দিয়েছে, বিষয়টির উপরে নজর রাখতে তারা। কাশ্মীর সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানের বার্তা দিয়েছে তারা।     


সবমিলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে কোনও ক্ষেত্রেই সাড়া পাননি ইমরান খান। হুঙ্কার দিয়েও আন্তর্জাতিকস্তরে ভারতকে কোণঠাসা করতে পারেনি পাকিস্তান। বন্ধু রাষ্ট্র তো বটেই, ইসলামিক দেশগুলিও পাশে নেই। এটা নয়াদিল্লির কূটনৈতিক সাফল্য বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। 


আরও পড়ুন- বাংলাদেশি দাওয়াই ফেল, ডেঙ্গির মোকাবিলায় ভরসা ভারতের মশা মারার ওষুধ