পর্যটকদের হট্টগোল নেই, লকডাউনে সমুদ্র সৈকত দখল নিয়েছে কুমিররা
এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পর্যটক থাকাকালীনই ওয়াক্সাকায় সমুদ্র সৈকতে কুমির দেখা গিয়েছে। তবে তা কালেভদ্রে একটা-দুটো।
নিজস্ব প্রতিবেদন : লকডাউনের পর বিশ্বের বিভিন্ন স্থানের টুরিস্ট স্পট জনশুন্য। আর সেই সুযোগে সেই স্থানগুলিতে ফিরে আসছে সেখানকার আদি বাসিন্দারা। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রভাবে লকডাউনের ফলে নিজেদের হারানো বাসস্থান যেন ফিরে পাচ্ছে বন্যপ্রাণীরা। এবার সেরকমই এক দৃশ্য দেখা গেল মেক্সিকোর ওয়াক্সাকার (Oaxaca) সমুদ্র সৈকতে। বেশ কয়েকদিন ধরে পর্যটকদের অনুপস্থিতিতে সমুদ্র সৈকত এখন দখল নিয়েছে সারি সারি কুমির।
তবে মেক্সিকোর ওক্সাকায় কুমির নতুন কিছু নয়। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে পর্যটক থাকাকালীনই ওয়াক্সাকায় সমুদ্র সৈকতে কুমির দেখা গিয়েছে। তবে তা কালেভদ্রে একটা-দুটো। সাধারণ মানুষের ভিড় ও হই-হট্টগোলের ভয়ে পথ ভুল না করলে এই সৈকতে সাধারণত কুমিররা ওঠে না। সৈকত থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরে ওয়াক্সাকা উপহৃদেই মূলত কুমিরদের দেখা যায়। তবে, সেখানেও যে তারা খুব শান্তিতে থাকতে পারে তা বলা যায় না। কুমির দেখতে সারা বছরই বোটে চড়ে ভিড় জমান স্থানীয় পর্যটকরা। বোট থেকে জলে পড়ে কুমিরের কামড়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে। তবে এই কদিন যেন একটু শান্তিতেই আছেন ওক্সাকার আদি মালিকরা।
ওয়াক্সাকার সমুদ্রতটে বালিতে বসে বেশ কয়েকটি বিশালাকায় কুমির। নির্ঝঞ্ঝাটে দুপুরের রোদ পোহাচ্ছে তারা। মেক্সিকোর বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে সেই ছবি।
গত কয়েকদিনে বিশ্বের বিভিন্ন স্থানেই লকডাউনের প্রভাবে বন্যপ্রাণীদের প্রাকৃতিক পর্যটন স্থানে নিশ্চিন্তভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা গিয়েছে। খোদ পশ্চিমবঙ্গেরই কলকাতা ও শহরতলিতে লকডাউনের রাস্তাঘাটে রাতে বেশি করে চোখে পড়ছে ভামবেড়াল।
আসলে আমাদের মতো পৃথিবীটা ওদেরও। ওদের প্রত্যাবর্তন যেন আরও একবার মানুষকে মনে করিয়ে দেয় সেই কথা।
আরও পড়ুন: আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়াল ৬ লক্ষ, একদিনে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে