নিজস্ব প্রতিবেদন: ওমান উপসাগরের উপর তৈরি চাবাহার বন্দরকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বাইরে রাখল হোয়াইট হাউজ। এই সিদ্ধান্তে সাময়িক স্বস্তি ভারতে। ইরান, আফগানিস্তান এবং ভারত চাবাহার বন্দর তৈরিতে একযোগে কাজ চালাচ্ছে। এই বন্দরকে কেন্দ্র করে তৈরি নয়া করিডরে পাক মাটি না ছুঁয়েই বাণিজ্য করতে পারবে ভারত। ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, ইরানের সঙ্গে তেল আমদানির পাশাপাশি বন্দরের কাজও চালিয়ে যাবে ভারত।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- আমেরিকার মধ্যবর্তী নির্বাচন: সেনেট দখলে রাখলেও হাউজ হারাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প


উল্লেখ্য, দু’দফায় গত সোমবার ইরানের উপর ‘কঠিনতম’ নিষেধাজ্ঞা চাপায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ইরানের ব্যাঙ্ক এবং এনার্জি ক্ষেত্রে কড়া নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। পাশাপাশি, তেল আমদানি শূন্যে নামানোর হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে ইউরোপ, এশিয়ার নামী-দামি সংস্থাকে। মার্কিন বিদেশসচিব মাইক পম্পেয় জানান, ভারত, চিন, ইতালি, জাপান, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, তাইওয়ান এবং তুরস্ক এই আট দেশকে নিষেধাজ্ঞা থেকে সাময়িকভাবে ছাড় দেওয়া হচ্ছে।


আরও পড়ুন- ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও চিন পর্যন্ত পাক অধিকৃত কাশ্মীরে বাস পরিষেবা চালু করল ইসলামাবাদ


মার্কিন বিদেশসচিবের তরফে জানানো হয়, ইরান ফ্রিডম অ্যান্ড কাউন্টার-প্রোলিফেরেশন অ্যাক্ট ২০১২ অনুযায়ী মার্কিন নিষেধাজ্ঞা থেকে চাবাহার বন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে। আফাগানিস্তান এবং ভারতের জন্য চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব বিচার করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, আফগানিস্তানের বন্দরের সঙ্গে সরাসরি চাবাহার বন্দর পর্যন্ত সড়ক ও রেলপথে বাণিজ্য করতে পারবে আফগানিস্তান এবং ভারত। বিশেষজ্ঞদের দাবি, পরোক্ষভাবে লাভবান হবে আমেরিকাও। আফগানিস্তানে মোতায়েন বিপুল সংখ্যক মার্কিন সেনার যাতায়াত বা যুদ্ধাস্ত্র পরিবহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেবে এই করিডর। ২০১৬ সালে ভারত, ইরান এবং আফগানিস্তানের উদ্যোগে চাবাহার বন্দরে কাজ শুরু হয়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞায় এই বন্দর যে কোপে পড়তে পারে এমনই আশঙ্কা করছিল ভারত। কিন্তু এ দিনের হোয়াইট হাউজের বার্তা সাময়িক স্বতি ফেরালো নয়া দিল্লিকে।