ওয়েব ডেস্ক: এনপিটি ( Non-Proliferation Treaty)  চুক্তিতে সই না করেই ভারত এবার প্রথম দেশ হিসাবে জাপানের সঙ্গে 'সিভিল নিউক্লিয়ার ডিল' করতে চলেছে বলে জানিয়েছে টাইমস অফ ইন্ডিয়া। আর এতেই কাঁপুনি ধরেছে পাকিস্তান ও চিনের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মনে করা হচ্ছে, নরেন্দ্র মোদীর তিন দিনের জাপান সফর চলাকালীন টোকিও-তে এই চুক্তি সই হতে চলেছে দুদেশের মধ্যে। এই চুক্তির ফলে জাপান ভারতে 'নিউক্লিয়ার পাওয়ার প্লান্ট' রফতানি করবে। আন্তর্জাতীক কূটনীতিকদের মতে দক্ষিন চিন সাগরে চিনা সৈন্য বাহিনীর ক্রমবর্ধমান উপস্থিতিকে মাথায় রেখে জাপান তাদের পরমানু নীতি পরিবর্তন করতে চলেছে।


 


আরও পড়ুন- ট্রাম্প না ক্লিনটন, কে জিতবে? ভবিষ্যতবাণী চাইনিজ বানরের


টোকিও ফাউন্ডেশনের গবেষক সাতোরু ন্যাগাও এর মতে, "যদি এই বিষয়টিকে (ভারত-চিন পরমানু চুক্তি) পর্যালোচনা করা যায় তাহলে বোঝা যাবে যে, দুদেশের মধ্যে এই চুক্তি সম্পাদিত হলে ভারত ও চিন কারও উপরেই এর কোন কুপ্রভাব পড়বে না।" এই গবেষক আরও বলেছেন যে, "ভারত যদি যত্নসহকারে দায়িত্বপূর্ণভাবে পরমানু প্রযুক্তি ব্যবহার করে যেরকমভাবে গত অর্ধ শতক ধরে তারা তা করে আসছে তাহলে, শান্তিপূর্ণভাবে এই পরমানু শক্তির সহযোগীতা কোনও ভাবেই 'এনপিটি রিজিম'কে 'আন্ডারমাইন' করবে না।"


আরও পড়ুন-পাকিস্তান চিন এই কারণেই 'বন্ধু'


প্রসঙ্গত, এখনও পর্যন্ত মোট ১১টি দেশ ভারতের সঙ্গে 'সিভিল নিউক্লিয়ার কোঅপারেশন এগ্রিমেন্ট' সই করেছে। তবে, এই চুক্তি একবার সম্পাদিত হলে, পরমানু শক্তিতে যে ভারত আরও বলীয়ান হয়ে উঠবে তা বলাই বাহুল্য। আর চিন ও পাকিস্তানের মতো দেশ গুলোর জন্য এই চুক্তি হবে আশঙ্কার কারণ। বিশেষত, লাগাতার চিন যেভাবে ভারতের পরমানু সরবরাহকারী গোষ্ঠাতে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে বাধা দিয়ে আসছিল তাতে এই চুক্তি রাতের ঘুমও কেড়ে নেবে বেজিং-এর বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।