নিজস্ব প্রতিবেদন- গত বছরও ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করেছিল ভারত। তার পর থেকে বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে যায়। এমনকী হাসিনার সরকারও দেশবাসীকে পরামর্শ দেয়, পেঁয়াজ ছাড়া রান্না করার শিখতে পারলে ভাল! এবারও একই অবস্থা হতে পারে বাংলাদেশে। কারণ আবারও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি। আর ঠিক যেদিন বাংলদেশ থেকে ভারতে ইলিশ এল, সেদিনই পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেল। যদিও ব্যাপারটা একেবারেই কাকতালীয়। তবে ভারতের এমন সিদ্ধান্ত আবার নতুন করে দুদেশের সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে। কারণ ইতিমধ্যে বাংলাদেশের অনেক জায়গায় পেঁয়াজের দাম কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। আগামী কয়েকদিনে পেঁয়াজের দাম সেখানে আকাশছোঁয়া হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  যে দেশ 'সন্ত্রাসবাদের আঁতুড়ঘর', তাদের মুখে মানবাধিকার কথা! পাকিস্তানকে চপেটাঘাত দিল্লির


গত বছর পুজোর আগে এপার বাংলাকে উপহার দিয়েছিল বাংলাদেশ। হাসিনার সরকার এবারও পুজোর আগে ইলিশ উপহার দিয়ে সৌহার্দের উদাহরণ রেখেছেন। তবে এবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় বাংলাদেশে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। বাংলাদেশী জনগণ ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভ উগড়ে দিতে শুরু করেছেন। বলা হচ্ছে, ভারতে ইলিশ পাঠানোর কী দরকার ছিল বাংলাদেশের! যেখানে ভারত এই নিয়ে পর পর দুবছর পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল! তা হলে আর সুসম্পর্ক বজায় রাখার প্রশ্ন আসছে কোথা থেকে! পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কে আগাগোড়া খারাপ ভারতের। তবে নতুন করে চিন ও নেপালের সঙ্গেও সম্পর্ক তলানিতে ঠেকেছে এদেশের। এমনকী বেশ কিছু ইস্যু নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কেও জটিলতা তৈরি হয়েছিল।


ভারত রপ্তানি করবে না জেনে বাংলাদেশ ইতিমধ্যে পেঁয়াজ মজুত করতে শুরু করেছে। তাছাড়া বাংলাদেশ জানিয়েছে, পাকিস্তান ও চিন তাঁদের পেঁয়াজ রপ্তানি করতে রাজি। ফলে ভারতের সঙ্গে অদূর ভবিষ্যতে বাংলাদেশের দূরত্ব সৃষ্টির সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে। আর এই সুযোগের ফায়দা নিচ্ছে চিন ও পাকিস্তান। যদিও গত বছর জানুয়ারি মাসে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সি ঘোষণা করেছিলেন, ভারত থেকে তাদের আর পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। তাহলে এবারও ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করায় কেন বাংলাদেশকে বিপদে পড়ে হল, দেশবাসী হাসিনার সরকারের কাছে জবাব চাইছে।