নিজস্ব প্রতিবেদন: বেশ কিছুদিন ধরেই বিদেশি সংবাদমাধ্যমের হাতে নাজেহাল হচ্ছিল মোদী সরকার। করোনামৃত্যুর প্রশ্নে আবারও এক দফা আক্রমণ ধেয়ে এল নরেন্দ্র মোদীর দিকে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রথম মোদী সমালোচনা করে UK Sunday Times। পরে তাদের প্রকাশিত রচনাটিই পুনরায় প্রকাশ করে ভারতে কোভিড সংক্রমণের বাড়াবাড়ির জন্য সরাসরি মোদীকে দায়ী করে 'দ্য অস্ট্রেলিয়ান'। এর কিছু দিন পরে 'ল্যানসেট' পত্রিকায়ও মোদীকে তীব্র ভাষায় সমালোচনা করে। 


এবার একে-একে নানা বিরূপ সমালোচনা করল ওয়াশিংটন পোস্ট, নেচার, দ্য গার্ডিয়ান, ডেইলি মেল, সিএনএন, দ্য় ইকনমিস্টের মতো সংবাদমাধ্যম। সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের মধ্যে মোদী সরকারের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণের তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে এই পত্র  পত্রিকাগুলিতে।


আরও পড়ুন: করোনা-যুদ্ধে পাশে আছি, মোদীকে ফের বার্তা হাসিনার


The Australian মোদীর Arrogance, hyper-nationalism এবং bureaucratic incompetenceকে সমালোচনায় বিদ্ধ করেছিল। যদিও ভারতের তরফে এ নিয়ে উক্ত সংবাদমাধ্যমের প্রতি উষ্মাও জানানো হয়েছিল। কিন্তু তার পরেও বিশ্ব জুড়ে মোদী-নিন্দা চলছেই। এবং সকলেই এক মত, এই বিশ্বজোড়া সমালোচনার মুখে দাঁড়িয়ে Prime Minister Narendra Modi এতদিন ধরে ধীরে ধীরে তাঁর যে ইমেজ গড়ে তুলেছিলেন তা তীব্র ধাক্কা খেল। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, ব্র্যান্ড মোদীর গায়ে একটা বড় ধাক্কা লাগল।


এখন বিশ্ব গণমাধ্যমকে শাসন করছে ভারতের করোনা সংবাদই। চিকিৎসা না পেয়ে মানুষ হাসপাতালের বাইরে ফুটপাতে অপেক্ষা করছেন, কোথাও  চিকিৎসা চলছে কিন্তু তারই মধ্যে অক্সিজেনের ঘাটতিতে নেমে এসেছে মৃত্যু, কোথাও ডাক্তারের দেখাই মেলেনি, কোভিডরোগীর মৃত্যুর পরে শ্মশানেও এক বিভীষিকা! হয় শ্মশানে দাহকার্য করা যাচ্ছে না, নয়তো মৃতদেহ ঘণ্টার পর ঘণ্টা পড়েই থাকছে। সব দিক থেকেই গোটা ভারতে এক দুঃস্বপ্নের মতো প্রতীয়মান করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। 


এবং এই সবটার জন্যই আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যের একাংশ মোদী সরকার ও সরাসরি নরেন্দ্র মোদীকেই (Narendra Modi) দায়ী করছে। মূলত দায়ী করা হচ্ছে কুম্ভস্নানে মোদীর ছাড়পত্র দেওয়া এবং পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনকে ঘিরে জনসমাবেশ, ভিড়়, জমায়েতকে প্রশ্রয় দেওয়া। 


অন্যতম প্রখ্যাত political scientist Milan Vaishnav বলেছেন, সরকার যে শুধু কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি তা-ই নয়, তাকে আরও বাড়াবাড়ির দিকে ঠেলে দিয়েছে। তিনি বলছেন, মোদী অবশ্য একা নন, এর আগে করোনা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়ে এরকম সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন US President Donald Trump এবং  Brazilian President Jair Bolsonaro-ও। তবে উক্ত দুজন যেমন দেশের করোনা পরিস্থিতির ভয়াবহতাকে উড়িয়েই দিয়েছিলেন, মোদী তা দেননি। কিন্তু আশঙ্কা থাকা সত্ত্বেও মোদী আগে থেকে সুব্যবস্থার মাধ্যমে এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেই তাঁর মত।


আরও পড়ুন: আফ্রিকার অনেক দেশেই পড়ে নষ্ট হচ্ছে ভ্যাকসিন