নিজস্ব প্রতিবেদন: যতটা গর্জেছিল, ততটা বর্ষাল না ইরান। ভারতে নিযুক্ত ইরানের উপ রাষ্ট্রদূত মাসুদ রাহাগি যে কড়া সুরে হুঁশিয়ারি দিয়েছিল, তা ইরান দূতাবাস খারজি করে জানিয়ে দেয়, ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে কোনওভাবেই চিড় ধরবে না। ইরানের উপর নির্ভর না করে অন্যান্য দেশ থেকে জ্বালানি তেল আমদানি করায় রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন রাহাগি। তিনি জানান, ইরান থেকে তেল না কিনলে, ভারতকে অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন- বাণিজ্য যুদ্ধে খাড়াখাড়ি চিন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রভাব এশীয় শেয়ার বাজারে


রাহাগির মন্তব্যের কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ইরানের দূতাবাস স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, নয়দিল্লি বরাবরই বিশ্বস্ত সঙ্গী ইরানের। তেল রপ্তানি ক্ষেত্রে ভবিষ্যতেও তাদের সম্পর্ক অটুট থাকবে। রাহাগির আরও অভিযোগ ছিল, চাবাহার বন্দরে কোনও বিনিয়োগ করছে না ভারত। সেই অভিযোগ কার্যত ধামা চাপা দেওয়ার চেষ্টা করে ইরান। জানানো হয়, চাবাহার বন্দরের সমস্যা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এ ব্যাপারে বিনিয়োগ বৃদ্ধি নিয়ে ভারতের সঙ্গে আলোচনা চলছে।


আরও পড়ুন- তেল না কিনলে মাসুল গুনতে হবে ভারতকে, হুঁশিয়ারি ইরানের


চাবাহার বন্দর কেন্দ্র করে আফগানিস্তান, ভারত এবং ইরান তাদের ত্রিপাক্ষিক বাণিজ্যকে আরও মজবুত করতে পারবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। এমনকী এই বন্দরের সৌজন্যে পাকিস্তানকে বাদ দিয়েই মধ্য এশিয়ার দেশগুলির সঙ্গে নয়া বাণিজ্য করিডর তৈরি করতে পারবে ভারত। তাই  চাবাহার বন্দরের গুরুত্ব বোঝাতে আমেরিকার সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে নয়াদিল্লি। তবে, ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি বিচ্ছিন্ন করার পর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যে অন্যান্য দেশগুলির উপর চাপ সৃষ্টি করেছে। আগামী নভেম্বরে মধ্যে ভারত-সহ অন্যান্য ‘মিত্রদেশগুলি’কে ইরান থেকে তেল আমদানি শূন্যে নামানোর দাবি জানায় আমেরিকা। দাবি না মানলে ভারতকেও যে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে, তা স্পষ্ট করে দিয়েছে হোয়াইট হাউজ।  


আরও পড়ুন- নিলামে উঠল গিলোটিন, পিছু ছাড়ল না বিতর্ক