নিজস্ব প্রতিবেদন- করোনা ভ্যাকসিন আবিষ্কার নিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ নিজেদের মতো গবেষণা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে ফাইজার-এর মতো সংস্থা করোনা ভ্যাকসিন-এর কার্যকারিতা নিয়ে বড়সড় দাবি করেছে। তৃতীয় তথা শেষ দফার ট্রায়াল- এর পরই ফাইজার-এর ভ্যাকসিন বিতরণ করা যাবে বলে দাবি করেছে সংস্থাটি। তবে করোনা ভ্যাকসিন নিয়ে মুসলিম প্রধান দেশগুলিতে নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে। মালয়েশিয়া থেকে শুরু করে মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মুসলিম প্রধান দেশের ধর্মগুরুরা নতুন তর্কে মেতেছেন। করোনার ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে শুয়োরের মাংসের ব্যবহার করা হচ্ছে। আর তাই ইসলাম ধর্মাবলম্বী মানুষদের জন্য এই ভ্যাকসিন অপবিত্র। এমনই দাবি করেছেন একাধিক দেশের ধর্মগুরুরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসলে বেশ কিছু ভ্যাকসিন তৈরীর ক্ষেত্রে পর্ক জিলেটিন ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ ভ্যাকসিন মজুত ও দীর্ঘদিন কার্যকর রাখার জন্য শুয়োরের মাংসের ব্যবহার হয়ে থাকে। তবে ফাইজার, মডার্ন, এক্সট্রাজেনেকা-র মতো সংস্থাগুলির দাবি, তারা ভ্যাকসিন উৎপাদনের ক্ষেত্রে শুয়োরের মাংসের কোনও রকম ব্যবহার করেনি। কিন্তু এখনো বহু এমন সংস্থা আছে যারা ভ্যাকসিন তৈরীর ক্ষেত্রে শুয়োরের মাংস ব্যবহার করা হচ্ছে কিনা সেই সম্পর্কে সঠিক তথ্য প্রকাশ করছে না। ফলে বেশ কিছু মুসলিম দেশে করোনার ভ্যাকসিন দেওয়া হবে কিনা তা নিয়ে বিরোধ চলছে। মুসলিম ধর্মগুরুদের একাংশ বলছেন, শুয়োরের মাংসের ব্যবহার হলে এই ভ্যাকসিন মুসলিমদের জন্য অপবিত্র। যদিও ইহুদি ধর্ম গুরুরা তা মানতে নারাজ। ইজরায়েলের রব্বানী সংগঠনের প্রধান রব ডিভিডি স্টেব জানিয়েছেন, ইহুদি ধর্ম অনুসারে শুয়োরের মাংসের প্রয়োগ হয়েছে এমন জিনিস ব্যবহার করা তখনই যুক্তিযুক্ত, যখন আর কোনো উপায় থাকবে না। অর্থাৎ কোনো পথ খোলা না থাকলে ভ্যাকসিন নিতে তাদের ধর্মে কোনওরকম বাধা নেই।


আরও পড়ুন-  মাস্ক (Mask) না পরে সেলফি (Selfie) তোলায় জরিমানা চিলির প্রেসিডেন্টের!


ব্রিটিশ ইসলামিক মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের সচিব সালমান বকার জানিয়েছেন, অর্থোডক্স ইহুদি ও মুসলিম সম্প্রদায় টিকা নিয়ে ভিন্নমত প্রকাশ করেছে। বহু ভ্যাকসিন এর ক্ষেত্রে পার্ক জিলেটিন ব্যবহার করা হয়। শুয়োরের মাংসের ব্যবহার ইসলাম ধর্ম অনুসারে অপবিত্র বলে মনে করা হয়। কিন্তু এই মুহূর্তে সারা বিশ্বের টীকার প্রয়োজন। না হলে বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। মালয়েশিয়া, সৌদির ধর্মগুরুরা কোনও যুক্তি মানতে চাইছেন না। মধ্যপ্রাচ্যের ইসলামিক দেশগুলির বিজ্ঞানীরা ইতিমধ্যে পর্ক জিলেটিন-এর ব্যবহার ছাড়া ভ্যাকসিন তৈরীর কাজ শুরু করেছেন বলেও খবর।