Israel-Palestine Conflict: গাজায় এবার পরমাণু হামলাও চালাবে ইজরায়েল? কী বলছে বাকি বিশ্ব?
Israel-Palestine Conflict: শিশুদের হত্যা, শরণার্থী শিবিরে বোমা, হাসপাতালে হামলা, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও হামলা। ইজরায়েলের যুদ্ধের ধরন-ধারণ নিয়ে গাজা তথা প্যালস্টাইন তো স্তম্ভিতই, সারা বিশ্বও রীতিমতো বিব্রত, বিরক্ত। কিন্তু এবার ইজরায়েলের থেকে এটাও যে শুনতে হবে, তা সম্ভবত কেউ ঘুণাক্ষরেও আঁচ করেনি!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: শিশুদের হত্যা, শরণার্থী শিবিরে বোমা, হাসপাতালে হামলা, এমনকি অ্যাম্বুল্যান্সেও হামলা। ইজরায়েলের যুদ্ধের ধরন-ধারণ নিয়ে গাজা তথা প্যালস্টাইন তো স্তম্ভিতই, সারা বিশ্বও রীতিমতো বিব্রত, বিরক্ত। কিন্তু এবার ইজরায়েলের থেকে এটাও যে শুনতে হবে, তা সম্ভবত কেউ ঘুণাক্ষরেও আঁচ করেনি! কী সেটা?
পরমাণুবোমার আতঙ্ক! ইজরায়েল পরিষ্কার বুঝিয়েই দিল যে, তারা পরমাণু বোমা ফেলতেও সম্ভবত পিছপা হবে না। ইজরায়েল যে-ভাবে যুদ্ধ করছে, তাতে পরিস্থিতি খুবই সঙ্গিন হয়ে পড়েছে। তারা যুদ্ধের কোনও নিয়মনীতিই মানছে না। শিশুদের হত্যা করা, শরণার্থী শিবিরে বোমা ফেলা, হাসপাতালে হামলা চালানো, অ্যাম্বুল্যান্সেও হামলা-- কোনও কিছু করতেই বাদ রাখেনি তারা। এবার তারা জানাল, পরমাণু বোমা নিয়েও ভাবনাচিন্তা চালাচ্ছে তারা।
ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে। গাজায় আক্রমণের ঝাঁঝও বাড়াচ্ছে ইজরায়েল। হামাস জানিয়েছে, গাজায় ইজরায়েলি সেনার বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে প্রস্তুত তারা। এই পরিস্থিতিতেই হামাসকে পুরোপুরি শেষ করতে গাজায় পরমাণু বোমার ফেলার কথা বললেন ইজরায়েলের হেরিটেজ মিনিস্টার অ্যামিচাই এলিয়াহু। যুদ্ধে ইতি টানতে পরমাণু বোমা হামলাই অন্যতম বিকল্প বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি এ কথা বলার পর, সারা বিশ্বই চমকে উঠেছে। সত্যিই গাজায় পরমাণু হামলা চালাবে ইজরায়েল? ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু-ও কি তাই মনে করেন? না, গাজায় পরমাণু হামালার সম্ভাবনা অবশ্য উড়িয়েই দিয়েছেন ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী। তাঁর মন্ত্রীর ওই বক্তব্যের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই বলে উল্লেখ করেন তিনি।
গাজায় পরমাণু হামলার কথা বলে ইজরায়েলেই প্রবল সমালোচিত হয়েছেন মন্ত্রী অ্যামিচাই এলিয়াহু। আসলে শুধু তো পরমাণুবোমা ব্যবহারের কথা বলেই থেমে যাননি তিনি। গাজাবাসী সম্বন্ধে নানা আপত্তিকর কথা বলেছেন। গাজার বাসিন্দাদের নাৎসি বাহিনীর সঙ্গে তুলনা করেছেন, সমস্ত গাজাবাসীকে মরুভূমিতে ফেলে দেওয়ার প্রস্তাবও দিয়েছেন। এসবের পরে দেশের অন্দেরই তাঁকে দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্ত্রী বলে ভর্ৎসনা করা হয়েছে।