সুদূরের নীহারিকা! এ বিশ্বের প্রথম গ্যালাক্সির প্রথম নক্ষত্রের সন্ধান কি দিতে পারল জেমস ওয়েব?
বিগ ব্যাংয়ের ৩০০ কোটি বছর পরে এই নক্ষত্রপুঞ্জ তৈরি হয়ে ওঠে। জেমস ওয়েব `এনশিয়েন্ট কালেকশন অফ স্টারস` খুঁজে বেড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাবল অতীতে যে ছবি আমাদের দেখিয়েছে, জেমসের ছবি তার তুলনায় ঢের বেশি সূক্ষ্ম ও পরিষ্কার।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: নক্ষত্রপুঞ্জ। নাম তার স্পার্কলার গ্যালাক্সি। আর তার পরিচয় হল-- এ মহাবিশ্বের আদিতম নক্ষত্রপুঞ্জ সে। সম্প্রতি এই পুঞ্জের সন্ধান পেয়েছে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ। কেউ কেউ বলছেন আদি নক্ষত্রের এই গ্লোবিউলার ক্লাস্টার জীবন্ত না হয়ে রেলিকসও হতে পারে। সম্প্রতি 'দ্য অ্যাস্ট্রোফিজিক্যাল জার্নাল লেটারস' পত্রিকায় এ সংক্রান্ত একটি গবেষণাপত্র প্রকাশিত হয়েছে। একদল কানাডিয়ান মহাকাশবিজ্ঞানী এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত থেকেছেন। জেমস ওয়েবের খুঁজে-আনা এই 'আর্লিয়েস্ট ফেজ অফ স্টার ফরমেশন' রীতিমতো সাড়া ফেলে দিয়েছে মহাকাশচর্চার মহলে। এখান থেকেই কি তবে হদিশ মিলবে সৃষ্টির প্রথম গ্যালাক্সির প্রথম নক্ষত্রটিরও? সে তো রীতিমতো রোমাঞ্চকর ব্যাপার হবে।
আরও পড়ুন: Iran: কাতার বিশ্বকাপে দেশের হার উদাপন করছিলেন তরুণ, তাঁকে গুলি করে মারল পুলিস...
কোথায় মিলেছে এ হেন আদি নক্ষত্রপুঞ্জের সন্ধান?
৯০০ কোটি আলোকবর্ষ দূরে আদিতম এই নক্ষত্রপুঞ্জের সন্ধান মিলেছে বলে জানা গিয়েছে। বিগ ব্যাংয়ের ৩০০ কোটি বছর পরে এই নক্ষত্রপুঞ্জ তৈরি হয়ে ওঠে। জেমস ওয়েব এখন এই 'এনশিয়েন্ট কালেকশন অফ স্টারস' খুঁজে বেড়াচ্ছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, হাবল যে ছবি আমাদের দেখিয়েছে, জেমসের ছবি তার তুলনায় ঢের বেশি সূক্ষ্ম ও পরিষ্কার।
যাকে আমরা মিল্কি ওয়ে বলে চিনি, সেটা আসলে এইরকম ১৫০টি গ্লোবিউলার ক্লাস্টারের সমাহার। বিজ্ঞানীরা জানেন, গ্লোবিউলার ক্লাস্টার মাত্রেই তা অতি অতি প্রাচীন। কিন্তু তাঁরাও স্বীকার করেন, এই রকম একটি নক্ষত্রপুঞ্জ ঠিত কতটা আদি, সেই হিসেব কষাটা যথেষ্ট কঠিন কাজ। তবে যে নতুন নক্ষত্রপুঞ্জটির হদিশ মিলেছে, যার নাম স্পার্কলার গ্যালাক্সি, সেটি আমাদের পরিচিত মিল্কি ওয়ে থেকে যে অনেকটাই দূরে, সেটা বোঝা গিয়েছে। এবং তার একটা আনুমানিক বয়সও ধার্য করা গিয়েছে। হাবল টেলিস্কোপ দিয়ে এটা দেখাই এতদিন সম্ভব হয়নি।
তবে এই স্পার্কলারের বয়স ঠিক কত, তা বুঝতে বিজ্ঞানীদের কোথায় অসুবিধা সেটা তাঁরা খুব সুন্দর একটা উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়েছেন। তাঁরা বিষয়টা ব্যাখ্যা করেছেন এই ভবে-- একজন ১০ বছর বয়স্কের সঙ্গে ৫ বছর বয়স্কের ফারাক চোখে দেখে যতটা সহজে বোঝা যায়, একজন ৫০ বছরের সঙ্গে ৫৫ বছরের ব্যক্তির ফারাক ততটা সহজে বোঝা যায় না। ফলে, নতুন বা কম বয়সী গ্যালাক্সির বয়স যতটা সহজে হিসেব করা যায়, অতি প্রাচীন কোনও গ্যালাক্সির বয়স ততটা সহজে বোঝা যায় না।