নিজস্ব প্রতিবেদন- শ্রীকৃষ্ণ মন্দির হওয়ার কথা ছিল পাকিস্তানের ইসলামাবাদে। পাকিস্তানের মাটিতে প্রথম হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজও শুরু হয়েছিল। কিন্তু শুরুতেই বাধা। ইসলামাবাদের এইচ-৯/২ সেক্টরে কৃষ্ণ মন্দির স্থাপনে বাধা দিল ধর্মীয় সংগঠন জমিয়া আসরফিয়া। গত সপ্তাহেই ওই এলাকায় মন্দির প্রতিষ্ঠার অনুমতি দিয়েছিল পাকিস্তানের সরকার। এমনকী ইমরান খানের সরকার মন্দির প্রতিষ্ঠার জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদানের ঘোষণা করেছিল। আর তাতেই চটেছে জামিয়া আসরফিয়া। জামিয়ার লাহোর ইউনিট-এর প্রধান মুফতি জিয়াউদ্দিন বলেছেন, সংখ্যালুদের ধর্মীয় স্থানের মেরামতির জন্য সরকার অর্থ সাহায্য করতে পারে। কিন্তু নতুন করে ধর্মীয় স্থান তৈরির করার বিরোধিতা করছি আমরা। মানুষের করের টাকা এভাবে নষ্ট করা যাবে না।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানের মানবাধিকার বিষয়ক সংসদীয় সম্পাদক লাল চাঁদ মাহি গত সপ্তাহেই মাটি খুঁড়ে মন্দির প্রতিষ্ঠার কাজের সূচনা করেছিলেন। এক সপ্তাহের মধ্যেই মন্দির প্রতিষ্ঠায় বাধা পড়ল। ২০১৭ সালে হিন্দু কাউন্সিলকে ক্যাপিটেল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষ ইসলামাবাদের ওই এলাকায় ২০ হাজার বর্গ কিলোমিটার জমি মন্দির নির্মাণের জন্য দিয়েছিলেন। কিন্তু তার পর থেকেই একের পর এক বাধা। তিন বছর ধরে সেখানে মন্দির তৈরির জন্য একটি ইটও গাঁথতে দেওয়া হয়নি। ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রী পির নুরুল হক কাদরি এবার মন্দির নির্মাণের জন্য ১০ কোটি টাকা অনুদানেরও ঘোষণা করে দিয়েছিলেন। কিন্তু বাধ সাধল জামিয়া আসরফিয়া।


আরও পড়ুন-  উড়িয়ে দেব তাজ হোটেল, মধ্যরাতে পাকিস্তান থেকে 'লস্করের' হুমকি ফোন মুম্বইয়ে


লাল চাঁদ মাহি অবশ্য বলেছেন, যতই বাধা আসুক মন্দির নির্মাণ এবার হবেই। ইসলামাবাদে প্রায় তিন হাজার হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষ থাকেন। ইসলামাবাদে শ্রী কৃষ্ণ মন্দির প্রতিষ্ঠা হলে তাঁদের আর রাওয়ালপিন্ডি উপাসনার জন্য যেতে হবে না। এদিকে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট ক্যাপিটেল ডেভেলপমেন্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে নোটিস জারি করেছে। বলা হয়েছে মন্দির নির্মাণ শহরের মাস্টারপ্ল্যানের বিরুদ্ধে। সব মিলিয়ে এবারও পাকিস্তানে প্রথম হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনা বিশ বাও জলে।