নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রথম আফ্রিকান-আমেরিকান, দক্ষিণ এশিয়ার মহিলা হিসাবে প্রথম সারির রাজনৈতিক দলের হয়ে ভাইস প্রেসিডেন্টের পদে লড়াইয়ের জন্য মনোনীত হলেন কমলা হ্যারিস। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বুধবার ডেমোক্র্যাটিক ন্যাশনাল কনভেনশনে ভাষণে, হ্যারিস সহ-রাষ্ট্রপতির পদে মনোনয়নের প্রস্তাব গ্রহণ করলেন। আবেগঘন কমলা বলেন, নারীরা ১০০ বছর আগে ভোট দেওয়ার অধিকার অর্জন করেছিল। তবে, আফ্রিকান-আমেরিকান মহিলারা ভোটাধিকারের জন্য দীর্ঘ লড়াইয়ের মুখোমুখি হয়েছিল। এই বিশেষ দিনটি তিনি সেই লড়াইকে উত্সর্গ করেন।


তিনি আমেরিকাবাসীকে জো বিডেনকে সমর্থনের আর্জি  করতে গিয়ে বলেন,  "বিডেন এমন এক ব্যক্তিক্ত, যিনি আমাদের সকলকে একত্রিত করবেন এই পরিস্থিতিতে শান্তি ফেরাবেন।"


"ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বের ব্যর্থতার মূল্য জনসাধারণকে জীবন ও জীবিকার বিনিময়ে দিতে হচ্ছে," ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাক্তন অ্যাটর্নি জেনারেল ট্রাম্পের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।


৩ নভেম্বর ট্রাম্পের মুখোমুখি হবেন প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট বিডেন। করোনভাইরাস সতর্কতার কারণে সম্পূর্ণ অনলাইন এবং টেলিভিশনে বৃহস্পতিবার নিজের মনোনয়ন গ্রহণের বক্তব্য পেশ করবেন বিডেন।


হ্যারিসের ভাষণের আগে আমেরিকার প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ রাষ্ট্রপতি বারাক ওবামা ট্রাম্পের সরকার পরিচালনার সম্পর্কে তীব্র নিন্দা জানান। শান্তি ও সাম্য ফেরাতে বিডেনকে নির্বাচনের আবেদন করেন তিনি।


ওবামা জানান, "২০১৭ সালে ট্রাম্পের কাছে হোয়াইট হাউস হস্তান্তর করার সময়ে ভেবেছিলাম রিপাবলিকানরা কাজটিকে গুরুত্ব সহকারে নেবেন।" "তবে ট্রাম্প কখনও এই দায়িত্বের গুরুত্ব দেননি," বলেন ওবামা।


বংশগতভাবে ভারতীয় এবং জ্যামাইকান অভিবাসীদের কন্যা হ্যারিস। এদিন আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁর বোন মায়া, ভাগ্নী মীনা এবং সৎ কন্যা ইলা এমফোফ তাঁকে মনোনীত করেন। 


দিদির লড়াইয়ের কথা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মঞ্চে আবেগঘন হয়ে পড়েন কমলার বোন মায়া। "আমি তোমাকে নিয়ে গর্বিত। যদিও আমাদের মা এখানে তাঁর প্রথম কন্যার এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী হতে পারলেন না, তবুও পুরো জাতি তোমার শক্তি, তোমার সততা, তোমার বুদ্ধিমত্তা এবং তোমার ইতিবাচক মূল্যবোধের মাধ্যমে মাকে দেখতে পাবে,' বলেন মায়া।


আরও পড়ুন : সম্মুখ সমরে নামলেন বিডেন, ট্রাম্প-পেন্স নাকি বিডেন-কমলা! পাল্লা ভারী কার?