COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ব্যুরো: বাঁচার স্বপ্ন নিয়ে ভূমধ্যসাগরে পাড়ি দিয়েছিলেন ওঁরা। কিন্তু পৌছনো হল না। ভূমধ্যসাগরের জলে সলিল সমাধি হল লিবিয়া থেকে আসা ২২ জন শরণার্থীর। এঁদের মধ্যে ২১ জনই মহিলা।


গৃহযুদ্ধে ধ্বংস হয়েছে দেশ। এর ওপর রয়েছে সন্ত্রাসবাদীদের চোখরাঙানি। একদিকে বিপন্ন জীবনধারণ। অন্যদিকে লাগামহীন সন্ত্রাস কেড়ে নিচ্ছে নিরাপত্তা।  তবু ইচ্ছে ছিল আরও ভালো করে বাঁচার। একটু ভালো  থাকার। তাই ইউরোপে আশ্রয় খুঁজে নিতে নিজের দেশ ছেড়ে ভূমধ্যসাগরের জলে ভেসে পড়েছিলেন একদল শরণার্থী। ছোট্ট নৌকায় গাদাগাদি করে। ইচ্ছে ছিল, লিবিয়া ছেড়ে পৌছবেন ইতালির উপকূলে। তারপর ঠিকানা হবে  ইউরোপের উন্নত কোনও দেশে। শান্ত সমুদ্র, ভালো আবহাওয়ার ফায়দা লুঠছিল মানব পাচারকারীরাও। এক একেকটি নৌকায় গরু ছাগলের মতোই ভরে দেওয়া হয়েছিল অনেককে।  বিধি বাম। বাঁচা হল না। ইতালির উপকূলে ঝড়ঝঞ্ঝার মুখে পড়ল লিবিয়া থেকে আসা শরনার্থী বোঝাই নৌকা। মাঝ সমুদ্রেই স্বপ্নের সলিল সমাধি।


১৮টি উদ্ধারকারী দল সমুদ্রে তল্লাসি চালিয়ে ১০০০ জন শরনার্থীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। কিন্তু, সে সৌভাগ্য হয়নি আরও ২২ জনের। মৃতদের মধ্যে ২১ জনই মহিলা। সকলেরই দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এবছরের শুরু থেকে এখনও পর্যন্ত প্রায় ৮০ হাজার মানুষ ইতালিতে আশ্রয় নিয়েছেন। ভূমধ্যসাগরের গভীরে চিরতরে হারিয়ে গেছেন প্রায় ৩ হাজার জন।