নিজস্ব প্রতিবেদন : তিনদিন সমুদ্রে ভেসে ছিল বাংলাদেশি নাবালক ইমরান খান। তিনদিন পর তাঁকে উদ্ধার করেছিল ভারতীয় মত্সজীবীরা। উদ্ধার হওয়ার পর ইমরান খান জানিয়েছে, লুঙ্গির জন্যই এই যাত্রায় সে বেঁচে গিয়েছে। এর আগে কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী রবীন্দ্রনাথ দাস পাঁচদিন সমুদ্রে ভেসে থেকেও প্রাণে বেঁচেছিলেন। বাংলাদেশির মত্সজীবীরা তাঁকে উদ্ধার করেছিলেন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-  টেক্সাসে ফের বন্দুকবাজের হামলায় নিহত ৫, আহত কমপক্ষে ২১



শনিবার সকালে উদ্ধারকারী ভারতীয় ট্রলার ইমরানকে রায়দিঘি থানার পুলিশের হাতে তুলে দেয়। এর পর ইমরানকে রায়দিঘি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সপ্তাহখানেক আগে ১২ জন মৎস্যজীবীর সঙ্গে ট্রলারে চেপে সমুদ্রে মাছ ধরতে বেরিয়েছিল ইমরান। সমুদ্র থেকে জল তোলার সময় শরীরের ভারসাম্য হারিয়ে সে পড়ে যায়। এর পর জলের তোড়ে ভেসে যায় সে। সঙ্গে লাইফ জ্যাকেট ছিল না। এমন অবস্থায় উত্তাল সমুদ্রে ভেসে থাকা প্রায় অসম্ভব। ইমরান পরনের লুঙ্গি খুলে তাতে কায়দা করে হাওয়া ভরে ফুলিয়ে সমুদ্রে ভেসে ছিল বলে জানিয়েছে।


আরও পড়ুন-  ভিডিয়ো: মাথায় বন্দুক ধরল ডাকাত, তবুও মুখ থেকে চুরুট সরালেন না ব্যক্তি



ইমরানকে উদ্ধারকারী ট্রলারের মাঝি মনোরঞ্জন দাস বলেছিলেন, রায়দিঘি থেকে বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে তাঁরা একজন মানুষকে সমুদ্রে ভাসতে দেখেন। এর পর কাছে যেতেই ইমরানকে দেখতে পান তাঁরা। তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয় তাঁকে। মনোরঞ্জন দাস বলছিলেন, আমরা দেখলাম ও লুঙ্গি ফুলিয়ে সেটা আকঁড়ে ভাসছিল। এর পরই ওকে ট্রলারে তুলে নিই আমরা। বাংলাদেশের পাথরঘাটা থানা এলাকার বরগুনার চরের ঘোরানি গ্রামের বাসিন্দা ইমরান। আইনি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ইমরানকে দেশে ফেরানো হবে।