জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মঞ্চ তৈরি হয়ে গিয়েছে। শুরু হয়ে গিয়েছে আমন্ত্রণ পাঠানো। জানা গিয়েছে চাঁদের হাট বসতে চলেছে কর্নাটকের নতুন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে। বহু টালবাহানার পরে অবশেষে বৃহস্পতিবার কংগ্রেস কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করেছে। অন্যদিকে এই পদের অপর দাবিদার ডিকে শিবকুমারের নাম ডেপুটি সিএম হিসাবে ঘোষণা করা হয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

জানা গিয়েছে, সিদ্দারামাইয়া এবং শিবকুমার মন্ত্রিসভার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে শুক্রবার আবার দিল্লিতে উড়ে যাবেন।


এই শপথ অনুষ্ঠানকে কংগ্রেস বিরোধী ঐক্যের শক্তি প্রদর্শনের জায়গা হিসেবে বেছে নেবে বলেই মনে করা হচ্ছে। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক, সংগঠন; কেসি ভেনুগোপাল এক বিবৃতিতে বলেছেন যে কংগ্রেস মিত্র এবং সমমনস্ক দলের নেতাদেরকে সিদ্দারামাইয়ার শপথ অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানাচ্ছে।


একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ইতিমধ্যেই ডিএমকে-র এমকে স্ট্যালিন, জেএমএম-এর হেমন্ত সোরেন, জেডি-ইউ-এর নীতীশ কুমার, আরজেডি-র তেজশ্বী যাদব, সিপিআই(এম)-এর সীতারাম ইয়েচুরি, শিবসেনার উদ্ধব ঠাকরে, এনসিপি-র শরদ পাওয়ার, ন্যাশনাল কনফারেন্সের ফারুক আবদুল্লাহ এবং পিডিপি-র মেহবুবা মুফতির মতো নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।


কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গে এবং সিদ্দারামাইয়া বৃহস্পতিবার স্ট্যালিনকে ফোন করেছিলেন এবং ২০ মে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।


২২৪-সদস্যের কর্নাটক বিধানসভার জন্য ১০মে হওয়া নির্বাচনে, কংগ্রেস ১৩৫টি আসন পেয়ে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। অন্যদিকে বিজেপি এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার নেতৃত্বাধীন জনতা দল (সেকিউলার) যথাক্রমে ৬৬ এবং ১৯টি আসন পেয়েছে।


আরও পড়ুন: Greater Noida Student Murder: প্রেমে জ্বালা! বিশ্ববিদ্যালয় ক্যামপাসেই তরুণী সহপাঠীকে গুলি করে আত্মঘাতী ছাত্র...


পাশাপাশি আমন্ত্রিতদের তালিকায় নাম রয়েছে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও। দিল্লিতে বিরোধী ঐক্যের ক্ষেত্রে বারবার কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের মতোপার্থক্য দেখা গিয়েছে। দিল্লিতে বিরোধী ঐক্য নিয়ে কংগ্রেসের ডাকা বৈঠক বারবার এড়িয়ে গিয়েছে তৃণমূল সাংসদরা। যদিও কর্নাটকের ফলাফল বেরনোর পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘আমি কোনও জাদুকর ন‌ই, ভবিষ্যৎ দ্রষ্টাও ন‌ই। যেখানে আঞ্চলিক দলগুলো শক্তিশালী সেখানে বিজেপি লড়াই করতে জিততে পারবে না। কর্নাটকে মানুষ বিজেপির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছে। বিহার, উড়িষ্যা, বেঙ্গল, চেন্নাই, তেলেঙ্গানা, পঞ্জাব সব জায়গায় আঞ্চলিক দল শক্তিশালী। কংগ্রেস যেসব জায়গায় শক্তিশালী, প্রায় ২০০টি আসনে, সেখানে তারা লড়াই করবে। কিন্তু তাদেরও ভাবতে হবে আঞ্চলিক দলগুলোকেও সমান সন্মান দিতে হবে’।


শিবকুমার সম্প্রতি বেঙ্গালুরুতে মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলার সময় মমতার মন্তব্যকে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কর্ণাটক কংগ্রেসের প্রধান ডিকে শিবকুমার সোমবার বলেছেন যে দক্ষিণের রাজ্যে কংগ্রেসের ঐতিহাসিক জয়ের পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য শুনে তিনি খুশি। তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই খুশি যে আজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু বিবৃতি দিয়েছেন এবং অন্যান্য নেতারাও... এটা বিরোধীদের জন্য ভালো।‘


আরও পড়ুন: Jallikattu: জাল্লিকাট্টু বৈধ, রায়ে কী জানাল সুপ্রিম কোর্ট?


যদিও পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস নেতা সোমেন রায় চৌধুরী বুধবার কর্ণাটক কংগ্রেসের নেতা ডি কে শিবকুমারকে চিঠিতে লিখেছেন। ডি কে শিবকুমারকে একটি ইমেলে রায় চৌধুরী লিখেছিলেন যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসকে ধ্বংস করেছেন। তিনি সেখানে লেখেন, ‘আমরা তীব্র প্রতিবাদ করেছি, তিনি সর্বদা কংগ্রেস দলকে তার ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করেছেন। সময়ে সময়ে, তিনি আমাদের সর্বোচ্চ নেতাদের আক্রমণ করেছেন এবং পার্টিকে ধ্বংস করার জন্য তার যথাসাধ্য করেছেন’।


পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য যে কংগ্রেস যেখানে শক্তিশালী সেখানে তাঁদের দল কংগ্রেসকে সমর্থন করবে কিন্তু 'বাংলায় তার বিরুদ্ধে লড়াই করা উচিত নয়' এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গ কংগ্রেসের সভাপতি এবং সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী।


তার বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায়, কংগ্রেস সাংসদ বলেছিলেন যে ‘কংগ্রেসের জয়ের পরে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখন বুঝতে পারছেন যে তিনি কংগ্রেসের সঙ্গে আপস না করে কোনও মূল্যে কাজ করতে পারবেন না, কর্নাটক নির্বাচনের আগে আপনি কি কখনও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলতে শুনেছেন বিজেপিকে হারাতে হবে কংগ্রেসকে ভোট দিন’। তিনি প্রশ্ন করেন, ‘তিনি সেই একই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি বিহার এবং উত্তরপ্রদেশ সফর করেছিলেন যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করছে তাদের সমর্থন করতে, কিন্তু কেন তিনি কংগ্রেসকে সমর্থন করতে কর্নাটকে যাননি?’


এই ঘটনার পরেও কর্নাটকের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমন্ত্রণকে দুই দলের মধ্যে বরফ গলার ইঙ্গিত বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এই বিষয়ে জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটালের তরফে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)