জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তা হলে এবারই কি শেষ এই গ্রহ? কেননা পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে এক বিশাল আকারের গ্রহাণু। একটা এরোপ্লেনের মতো আকার তার! ফলে এক সাঙ্ঘাতিক আতঙ্কের সূচনা হয়েছে। নাম তার এনইও ২০২২ কিউপিথ্রি। নাসা এই মর্মে এক সতর্কতা জারি করেছে। আজ, ২৮ অগস্টই এর পৃথিবীর সব চেয়ে কাছে আসার কথা। ১০০ ফুট চওড়া এই গ্রহাণু পৃথিবী থেকে মাত্র ৫.৫১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে। নাসার সেন্টার ফর নিয়ার আর্থ অবজেক্ট স্টাডিজ (সিএনইওএস) জানিয়েছে, গ্রহাণুটি সেকেন্ডে ৭.৯৩ কিলোমিটার বেগে ছুটছে। এটি আমাদের সৌরজগতের একটি উদ্বৃত্ত অংশ। সেটিই এই মহাশূন্যে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। এখন কোনও ভাবে সেটি পৃথিবীর আকর্ষণ-বলয়ের কাছাকাছি এসে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছে। এর গতি এবং পৃথিবী থেকে দূরত্বের নিরিখে এটিকে বিজ্ঞানীরা 'পোটেনশিয়ালি হ্যাজার্ডাস অবজেক্ট' বলে চিহ্নিত করেছেন। এই গ্রহাণুটি পাথুরে, ৪.৬ বিলিয়ন বছর আগের বস্তু।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: Carbon Dioxide in Exoplanet Atmosphere: ৭০০ আলোকবর্ষ দূরের উত্তপ্ত দৈত্যাকার গ্রহে এ কীসের খোঁজ মিলল...


এর আগে ধেয়ে আসছিল বেশ কয়েকটি গ্রহাণু। প্রায় ৫টি। এর মধ্যে '২০২২ ওটি১' নামের গ্রহাণুটি ছিল ১১০ ফুট চওড়া। সাম্প্রতিক কালে পাঁচটি ধূমকেতুর মধ্যে আকারে সব থেকে বড় ছিল এটি। ৪৭ লক্ষ কিলোমিটারের মধ্যে চলে আসার কথা তার! তার ভয়ে ভয়েই কাটছিল পথিবীবাসীর। তবে আগ্রহান্বিত ভাবে অপেক্ষায় ছিলেন মহাকাশ গবেষকেরা। কেননা, কমপক্ষে ৫টি গ্রহাণু পৃথিবীর কাছ দিয়ে যাওয়ার কথা ছিল। গ্রহাণুগুলির মধ্যে অন্তত তিনটি বিশালাকার, মহাকাশ গবেষকদের মতে যেগুলি উদ্বেগজনক। একটু ভুলচুক হলেই সেগুলি ধেয়ে আসতে পারত সোজা পৃথিবীর দিকে। আর ঘটতে পারত বড়সড় বিপর্যয়! নাসার বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহাণুটির প্রতি সেকেন্ডে ৫.৭ কিলোমিটার অর্থাৎ, ঘণ্টায় প্রায় ২০,৫২০ কিলোমিটার গতিবেগ ছিল। না, সেটি অবশ্য শেষ পর্যন্ত পৃথিবীতে এসে পৌঁছয়নি। তা হলে কোথায় অবস্থান করছে সেটি? সেটি কি পৃথিবীর ছায়া ছেড়ে ছুটে গেছে অন্য কোনও দিকে? কে জানে!


আপাতত এই এনইও ২০২২ কিউপিথ্রি নিয়ে যত চিন্তা। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)