জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ছিল ১৫০, হল ১৬১! সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতার পরীক্ষায় রেজাল্ট বেরোতে প্রায় চক্ষু চড়ক গাছ সকলের। দেখা যাচ্ছে সেখানে ডাহা ফেল ভারত! সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক সূচকে চোখো পড়ার মতো অবনতি হল ভারতের। বুধবার, ৩ মে সংবাদমাধ্যম স্বাধীনতা দিবসে আন্তর্জাতিক সংগঠন ‘রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স’-এর তরফে প্রকাশিত হয়েছে ২০২৩ সালের রিপোর্ট ও সূচক। সেই সূচক অনুযায়ী, ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬১তম স্থানে রয়েছে ভারত। স্বাধীন ভারতের ইতিহাসে যা সর্বনিম্ন!

 


 

২০২২ সালে এই তালিকায় ১৫০তম স্থানে ছিল ভারত। ২০২১ সালের সূচকে তার জায়গা হয়েছিল ১৪২তম স্থানে। সংবাদমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতার আন্তর্জাতিক সূচকে 

 

ওই সংগঠনের মতে, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে এক সময় নিরপেক্ষ এবং প্রগতিশীল মনে করা হত। কিন্তু তাঁরা যে দিকে ঈঙ্গিত করছেন, তার মর্মার্থ হল-- নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকেই ছবিটা বদলে গিয়েছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতীয় আইন তত্ত্বগত ভাবে সাংবাদিকদের রক্ষা করার পক্ষে। কিন্তু মানহানি, আদালত অবমাননা ও জাতীয় সুরক্ষার ক্ষতি করার অভিযোগ সংক্রান্ত আইনগুলির সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে রীতিমতো অপব্যবহার করা হচ্ছে। কোনও ইস্যুতে, কোনও ঘটনায় সরকারের সমালোচনা করলেই সংশ্লিষ্ট সাংবাদিকদের নানা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া হচ্ছে!

 


 

এখন পাকিস্তানও মোদীর ভারতের আগে। স্বাধীনতার পরে একাধিক বার সেদেশে সেনাশাসন চলেছে। তাছাড়াও সেখানে বিপর্যয়ের কোনও শেষ নেই। এখনও পাকিস্তান নানা দিক থেকে ঘোরতর ভাবে বিপন্ন, সংকটাপন্ন। এহেন পাকিস্তানও রয়েছে এই সূচকে ভারতের অনেকটা আগে, ১৫০তম স্থানে! ২০২২ সালে পাকিস্তান এই তালিকায় ১৫৭ নম্বরে থাকলেও তারা ৭ ধাপ উঠে এসেছে। এদিকে যে দেশকে তারা সবেতেই ঈর্ষা করে সেই ভারত নেমে গিয়েছে ১১ ধাপ!

 

অথচ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যতম শক্তি ভারতের সমাজে এখনও নানা অসাম্য, নানা বৈষম্য, নানা বঞ্চনার উপস্থিতি। ফলে এরকম এক ভৌগোলিক ও সামাজিক পরিস্থিতিতে সংবাদমাধ্যমের মুক্তাঙ্গন কাম্য।