নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্ষণ-মামলায় দোষী সাব্যস্ত উনিশ বছরের এক তরুণের দশ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড আপাতত বাতিল করে বম্বে হাইকোর্ট জানাল, নাবালিকার সম্মতি বিষয়টিই খুব অস্পষ্ট। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বম্বে হাইকোর্ট (Bombay High Court) নাবালিকার সম্মতি (minor's consent) বিষয়টিকে সরাসরি আইনের প্রেক্ষিতে একটি ধূসর বিষয় (a legal grey)বলে উল্লেখ করে। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৭ সালে। একই ছাদের তলায় থাকত সম্পর্কে ভাই-বোন ওই কিশোর কিশোরী। বছরপনেরোর কিশোরীটি তখন ক্লাস এইটের ছাত্রী। সে স্কুলে তার সহপাঠীকে জানায়, তার শরীরে অস্বস্তি হচ্ছে এবং বন্ধুর জেরায় তার দাদা যে তার সঙ্গে অশালীন আচরণ করেছে, তা জানায়। সেই সহপাঠী স্কুলের শিক্ষিকাকে বিষয়টি বলে। ওই শিক্ষিকা তখন মেয়েটির হয়ে থানায় অভিযোগ জানায়। সেই মামলায় আদালতে কিশোরীটি তার দাদার প্রতি যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনেছিল। যদিও ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে দেওয়া বয়ানে কিশোরীটি তাদের পারস্পরিক সম্মতির জেরেই তাদের মধ্যে শারীরিক ঘনিষ্ঠতা হয়েছিল, এমনই জানিয়েছিল। এবং শিক্ষিকার চাপেই থানায় অন্য বয়ান দিতে বাধ্য হয়েছিল বলেও উল্লেখ করে। সেই মামলায় নিম্ন আদালতে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিল ওই কিশোর। ১০ বছরের সাজা হয় তার। 


আরও পড়ুন: ‘লভ জিহাদ’ বিরোধী আইন আপাতত আসছে না গুজরাতে


এই রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করে পরে হাইকোর্টে যায় ছেলেটি। সেখানে ঘটনার সমস্ত গতিপ্রকৃতি আনুপূর্বিক বিবেচনা করে আদালত আপাতত তার শাস্তি বাতিল করে। বিচারপতি তাঁর ব্যাখ্যায় জানান, দুই মাইনরের (minors) মধ্যে সম্মতিমূলক যৌনসম্পর্কের (consensual sex) বিষয়টি যে অস্পষ্ট একটা ব্যাপার এ বিষয়ে তিনি সচেতন। কেননা, আইনের চোখে মাইনরের দেওয়া সম্মতির কোনও মূল্যই (not considered to be a valid consent) নেই।   


আপাতত জামিন পেয়েছেন তরুণটি। পরে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে। 


আরও পড়ুন: FarmersProtest-কাণ্ডে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করল Poetic Justice Foundation