নিজস্ব প্রতিবেদন:  ঘুমন্ত শিশুকে বেধড়ক মার। বেল্টের আঘাতে শিশুর পা থেকে মাথা পর্যন্ত জমাট বেঁধেছে রক্ত। শরীরের একাধিক জায়গায় ক্ষত। মৃত ছেলের দেহ নিয়েই ট্রেন সফরে গেলেন মা। মর্মান্তিক, নৃশংস এই ঘটনায় স্তম্ভিত বিচারকও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয়েসের বাসিন্দা জেমি জোনসের ছেলে কার্ল রাইস। ন'বছরের এই শিশুর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। রাইসের মৃত্যুর কিনারা করতে গিয়ে দিশেহারা হয়ে যায় পুলিস। বছর খানেক তদন্তের পর পুলিসের হাতে উঠে আসে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য, যা নির্মমও বটে!


জেমি তাঁর স্বামীকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি মেসেজ করেন, যাতে তিনি জানিয়েছিলেন জুনের ২৪ ও ২৫ তারিখ তিনি তাঁর ছেলেকে খুব বাজেভাবে মেরেছেন। এতটা নৃশংসভাবে এর আগে কখনও মারেননি তাঁকে। এরপরই ফের জেমিকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিস। জেরার মুখে ভেঙে পড়েন জেমি।


পুলিসের দাবি, নিজের বাড়িতেই ঘুমন্ত শিশুকে পিটিয়ে খুন করে জেমি জোনস। দুদিন ধরে তাকে মারা হয়। এরপর সেই মৃত ছেলের দেহ নিয়ে শিকাগো স্টেশন থেকে ট্রেনে ওঠেন তিনি। সঙ্গে ছিল তার ছোট্ট মেয়েও। যাতে ট্রেনের সিটে সোজা হয়েই বসিয়ে রাখা যায় তাই মৃত ছেলের পিঠে ব্যাকপ্যাক ঝুলিয়ে দিয়েছিল জেমি। স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখেছে পুলিস। সেই ফুটেজ দেখে মনে হচ্ছে, কার্ল ট্রেনে ঘুমিয়ে পড়েছে। স্টেশন থেকে নেমে একটি গাড়িতে ওঠে জেমি। গাড়িতে জেমির বাবা ও তার পরিবারের সদস্যরাও ছিলেন। কিছুক্ষণ তাঁদেরও ভুল বোঝায় জেমি। এরপর জেমির বাবা লক্ষ্য করেন কার্ল নিঃশ্বাস নিচ্ছে না। হাসপাতালে নিয়ে গেলে, তাকে মৃত বলে জানিয়ে দেন চিকিত্সকরা।      


স্টেট অ্যাটর্নি স্টিভ স্কেলার লেক কাউন্টি বিচারককে জানিয়েছেন, ময়নাতদন্ত রিপোর্টে কার্ল রাইসের মাথা থেকে পা পর্যন্ত সমস্ত জায়গায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে।  মৃত্যুর আগে একাধিকবার আঘাতের ফলেই মৃত্যু হয়েছে তারে। ছেলেকে খুনের অভিযোগে শনিবার গ্রেফতার করা হয়েছে জেমিকে।