নিজস্ব প্রতিবেদন- ভিন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব থাকা সম্ভব! সত্যিই কি পৃথিবী ছাড়া আর কোনও গ্রহে প্রাণীদের অস্তিত্ব রয়েছে! তারা কি সত্যিই মানুষের থেকেও উন্নত! এই প্রশ্নের সঠিক উত্তর এখনও বিজ্ঞানীদের জানা নেই। মানুষ চাঁদ, মঙ্গলে পৌঁছেছে। প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না জানতে বিস্তর খোঁজাখুজি, গবেষণা চলেছে। তবুও উত্তর ঘিরে দ্বন্দ্বই রয়েছে। ভিনগ্রহের প্রাণীদের নিয়ে হলিউড বা বলিউডে সিনেমার অন্ত নেই। কিন্তু বাস্তবে কেউ হলফ করে বলতে পারেন না, সত্যিই এলিয়েন-দের অস্তিত্ব রয়েছে! কখনও পৃথিবীতে সেইসব প্রাণীদের অদ্ভুত যান নিয়ে আসার কথা কেউ কেউ প্রচার করেছেন। তবে দিনের শেষে দেখা গিয়েছে, সবটাইই রটনা। আদতে ভিনগ্রহী বা তাদের অদ্ভুতদর্শন যানের বাস্তবে অস্তিত্বের কোনও প্রমাণ এখনও পাওয়া যায়নি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিজ্ঞানীরা অবশ্য হাল ছাড়েননি। বছরের পর বছর ধরে ভিনগ্রহীদের খুঁজতে দিন-রাত এক করছেন তাঁরা। তবে সেই খোঁজ আন্দাজে চলছে না। অনেক সময় ভিনগ্রহের প্রাণীদের অস্তিত্বের কিছু আবছা প্রমাণ মেলে। সেই অতিসূক্ষ প্রমাণের রেখা ধরেই আবার খোঁজ শুরু করেন বিজ্ঞানীরা। তেমনই হল আবার। বিজ্ঞানীদের একটি দলের দাবি, ব্রক্ষ্ণাণ্ডের কোনও এক অংশ থেকে রহস্যজনক রেডিও সিগনাল আসছে। সেই সিগনাল সেকেন্ড-এরও কম সময় স্থায়ী হচ্ছে। তবে সেই সিগনাল বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র তৈরি করছে। আর সেই সিগনাল-এর বৈদ্যুতিক তরঙ্গ সূর্যের থেকেও কয়েক গুণ শক্তিশালী। ব্রক্ষ্ণাণ্ডের কোনও নিকটবরতী অংশ থেকে এর আগে এমন Fast radio bursts আসেনি বলে দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা। 


আরও পড়ুন-  করোনায় রক্ষে নেই, সোয়াইন দোসর! এ বার 'এইচ ১ এন ২' ভাইরাস


 


সেই তরঙ্গ এত কম সময় স্থায়ী হচ্ছে যে বিজ্ঞানীরা তার উত্স ধরতে পারছেন না। বিজ্ঞানীরা আন্দাজের বশেই বলছেন, এমন Fast radio bursts আসছে ব্রক্ষ্ণাণ্ডের কোনও অংশ থেকে। হতে পারে ভিনগ্রহের প্রাণীদের ব্যবহার করা কোনও প্রযুক্তির জন্যই এমন রেডিও সিগনাল তৈরি হচ্ছে। আর সেই সিগনাল ব্রক্ষ্ণাণ্ডের বাইরে থেকে আসাও অসম্ভব নয় বলে দাবি করেছেন তাঁরা। কিয়োশি মাশুই নামের একজন অধ্যাপক জানাচ্ছেন, ২৭ এপ্রিল থেকে এই রেডিও সিগনাল আসছে ক্রমাগত। তবে সেটা সেকেন্ড-এরও কম সময় স্থায়ী হচ্ছে। তবে এই সিগনাল Milky Way থেকে আসছে বলেই আন্দাজ করছেন তিনি। পদার্থবিদ্যার অধ্যাপক কিয়োশি মাশুই ও তাঁর টিম এই সিগনালের উত্স খোঁজার কাজে নেমেছেন। এর আগে ২০০৭ সালেও ব্রক্ষ্ণাণ্ডের কোনও এক অংশ থেকে এমন রেডিও সিগনাল এসেছিল।