করোনায় রক্ষে নেই, সোয়াইন দোসর! এ বার 'এইচ ১ এন ২' ভাইরাস
গত ১৫ বছরের মধ্যে সারা পৃথিবীতে মাত্র ২৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন
নিজস্ব প্রতিবেদন: একটাই স্বস্তি, এই ভাইরাস চট করে একজন মানুষের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়ায় না। না হলে করোনা-মোকাবিলার এই আবহে আরও একবার বড় ধরনের স্বাস্থ্য বিপর্যয়ের মুখোমুখি হতে পারত সারা বিশ্ব। কেননা খোঁজ মিলেছে, সোয়াইন ফ্লু-র এক ধরনের বিরল ভাইরাসের৷ মানব শরীরেই খোঁজ মিলল এই ভাইরাসটির। কানাডা বুধবার এ কথা সরকারি ভাবে জানিয়েছে।
কানাডার আলবার্তা প্রদেশের এক বাসিন্দার শরীরে সোয়াইন ফ্লু-র 'এইচ ১ এন২' ভাইরাসের খোঁজ মিলেছে৷ মানবদেহে অবশ্য এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া খুবই বিরল এক ঘটনা বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা৷
যত দূর জানা যাচ্ছে, আক্রান্ত ব্যক্তি এখনও পর্যন্ত কারও সংস্পর্শে আসেননি৷ সূত্রের মারফত জানা যাচ্ছে, অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি নাগাদ ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন৷ তাঁর চিকিৎসা শুরু হয় এবং নানা রকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলতে থাকে। এ সব করতে গিয়েই তাঁর শরীরে এই ভাইরাসের খোঁজ পাওয়া যায়৷ এখন তিনি সুস্থ আছেন৷ নতুন করে কারও সংক্রমিত হওয়ার খবরও পাওয়া যায়নি বলেই আলবার্তা প্রশাসনের দাবি।
কোথা থেকে এই ভাইরাস ওই ব্যক্তির শরীরে এসে ঢুকল কানাডার স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা সেটাই এখন খতিয়ে দেখছেন৷
'এইচ ১ এন ১' ভাইরাসে মানুষ আক্রান্ত হলেও 'এইচ ১ এন ২' ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা বিরল গোত্রের৷ গত ১৫ বছরের মধ্যে সারা পৃথিবীতে ২৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে৷ এর আগে কানাডাতেও কখনও এই ভাইরাসে কারও আক্রান্ত হওয়ার খোঁজ মেলেনি বলেই জানাচ্ছে সেই দেশের সরকার৷
সরকারি আধিকারিকরা জানিয়েছেন, খাবারের মাধ্যমে 'এইচ ১ এন২' ভাইরাস মানব দেহে প্রবেশ করে না৷ অতএব শুয়োরের মাংস খেয়ে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা নেই৷ তবে এই ভাইরাসে আক্রান্ত কোনও শুয়োরের সংস্পর্শে কেউ এলে তখন ওই ব্যক্তির আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটতে পারে৷
স্বস্তির জায়গাটা অবশ্য থাকছে। 'এইচ ১ এন২' ভাইরাস সহজে একজন মানুষের থেকে অন্য জনের শরীরে ছড়ায় না।
আরও পড়ুন: ঐতিহাসিক সংখ্যা নিয়ে এগিয়ে জো বাইডেন, ভাঙল ওবামার রেকর্ড