নিজস্ব প্রতিবেদন: আফগানিস্তানে তালিবান উত্থানের (Taliban aggression) মাঝেই বুধবার ৫ দিনের সফরে আমেরিকা রওনা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

২২ থেকে ২৫ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থাকবেন আমেরিকায়। Quad সম্মেলনে (Quad Leaders Summit) যোগ দেওয়ার জন্য মোদির এই আমেরিকা সফর। এরই মাঝে তিনি দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করবেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের (Joe Biden) সঙ্গে। এই  প্রথমবার সরাসরি সাক্ষাৎ হবে বাইডেন (Joe Biden) এবং মোদির (Narendra Modi)। এছাড়াও ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসের (Vice President Kamala Harris) সঙ্গেও বৈঠকের কথা রয়েছে তাঁর। এই বৈঠকে বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার যে বিভিন্ন যৌথ কার্যকলাপ সেই বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। 


এই সফরের মূল বিষয় হল Quad leaders summit। এখানে চার দেশের রাষ্ট্র প্রধানের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে মোদির (Narendra Modi)। এই দেশগুলির মধ্যে রয়েছে আমেরিকা (USA), জাপান (Japan) এবং অস্ট্রেলিয়া (Australia)। এই বৈঠকের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী মোদী (PM Modi) অস্ট্রেলিয়া (Australia) এবং জাপানের (Japan) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও আলাদাভাবে বৈঠক করবেন। এরপরেই ২৫ তারিখ জাতিসংঘের (United Nations) জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে বক্তব্য রাখবেন মোদী (PM Modi)।      


আরও পড়ুন: Havana Syndrome: সিআইএ অফিসারের শরীরে হাভানা সিনড্রোমের উপসর্গ! আতঙ্ক  


এই সফরে সবথেকে বেশি নজর থাকবে ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের দিকে। আফগনিস্তানের (Afghanistan) শাসন ক্ষমতায় তালিবান (Taliban) আসার পরে উপমহাদেশীয় অঞ্চলে ভৌগোলিক এবং রাজনৈতিক পট পরিবর্তন ঘটেছে। বিভিন্ন দেশের কূটনৈতিক অবস্থানেও পরিবর্তন ঘটেছে। এর ফলে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক কোন দিকে এগোবে সেদিকে সকলের নজর থাকবে। এছাড়াও তালিবানকে (Taliban) পঞ্জশির যুদ্ধে সাহায্যের অভিযোগ উঠেছে পাকিস্তানের (Pakistan) বিরুদ্ধে। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও (Imran Khan) জানিয়েছেন আফগানিস্তানকে বিচ্ছিন্ন করে রাখার থেকে ভালো তাকে সঙ্গে নিয়ে চলা। অন্যদিকে আফগানিস্তান দাবি জানিয়েছে তাদেরকে জাতিসংঘের বৈঠকে অন্তর্ভুক্ত করার। তাদের মুখপাত্র সুহেল শাহীনকে আফগানিস্তানের তরফে জাতিসংঘে জায়গা দেওয়ার কথা উঠেছে।  


আফগানিস্তানের পরে উপমহাদেশে পাকিস্তানের উপস্থিতি এবং তাদের সঙ্গে চিনের সম্পর্কের উন্নতির ফলে অস্বস্তিতে রয়েছে ভারত। চীনের নতুন Belt  and Road Initiative এর ফলে ভৌগোলিকভাবে বেশ চাপে রয়েছে ভারত। পাক অধিকৃত কাশ্মীরের উপর দিয়ে তৈরী হওয়ার কথা রয়েছে এই রাস্তা। এর ফলে ভৌগোলিক ভাবে ভারতের উত্তরে পাকিস্তানের অবস্থান জোরালো হবে বলেই মনে করা হচ্ছে। অন্যদিকে আফগানিস্তানের তালিবান সরকার আসলে পাকিস্তানের গুপ্তচর সংস্থা ISI-এর পুতুল সরকার বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর ফলে ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিভিন্ন বাণিজ্যিক চুক্তি এবং আফগানিস্তানে ভারতের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প ধাক্কা খাবার বড়ো সম্ভাবনা রয়েছে।    


 



অন্যদিকে করোনা আবহে মোদির এই সফরে ভারতের করোনা পরিস্থিতি এবং করোনা মোকাবিলায় যৌথ পদক্ষেপের বিষয়েও কথা হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতে তৈরী বিভিন্ন টিকা নেওয়া মানুষদের আমেরিকায় যাওয়ার ব্যাপারেও এই বৈঠকে আলোচনা হতে পারে।  এই বৈঠকে আলোচনা হতে চলা অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে রয়েছে ভারতের সঙ্গে আমেরিকার বিভিন্ন স্ট্র্যাটেজিক জোট। বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে দুই দেশের বিভিন্ন যৌথ প্রকল্প এবং অন্যান্য বিষয়।


(Zee 24 Ghanta App : দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)