জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ধেয়ে আসছিল পৃথিবীর দিকে। তাকে ধাক্কা মেরে সরিয়ে দিল নতুন এই প্রযুক্তি। বেঁচে গেল পৃথিবী। গ্রহাণুর আসন্ন আঘাত থেকে পৃথিবীকে রক্ষা করার জন্য, শক্তি প্রয়োগ করে আগেই সেই গ্রহাণুর গতিপথ পরিবর্তন করা যায় কি না, সে সংক্রান্ত একটি পরীক্ষা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা। ১০ মাস আগে নাসা একটি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করেছিল। পৃথিবী থেকে ১ কোটি ১০ লাখ কিলোমিটার দূরবর্তী একটি গ্রহাণুতে সেটি সফলভাবে আঘাত হানতে পারল। নাসার ওই মহাকাশযানটির নাম 'ডার্ট'-- 'ডাবল অ্যাস্টেরয়েড রিডিরেকশন টেস্ট'। সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময়  সন্ধে ৭টা ১৪ মিনিটে হাইপারসনিক গতিতে ডার্ট গিয়ে ওই গ্রহাণুটিতে আঘাত করে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পড়ুন, বাঙালির প্রাণের উৎসবে আমার 'e' উৎসব। Zee ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল শারদসংখ্যা


গ্রহাণুটির নাম ডিমরফস। ডার্টের আকার বেশ ছোটই-- একটি ভেন্ডিং মেশিনের মতো। তুলনায় ডিমরফসের আকার যথেষ্ট বড়—একটি ফুটবল স্টেডিয়ামের মতো! সংঘর্ষের আগে পর্যন্ত ডার্টে থাকা ক্যামেরায় ডিমরফসের ছবি ধরা পড়ছিল। তা সরাসরি নাসার ওয়েবসাইটে দেখানোও হয়। ওয়াশিংটন ডিসির কাছে নাসার এই অভিযান পরিচালনাকেন্দ্র থেকে তা সরাসরি দেখানো হয়। প্রতি সেকেন্ডে গ্রহাণুর ছবি আসে। 'ডার্ট' যত কাছাকাছি যাচ্ছিল, ততই বড় হতে থাকছিল গ্রহাণু। তা দেখে নাসার অফিস হাততালি আর উল্লাসে ফেটে পড়ে।


আরও পড়ুন: Jupiter Close to Earth: দীর্ঘ ছ'দশক পরে সোমবার পৃথিবীর একেবারে ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলবে এই গ্রহ...


ডার্ট সফলভাবে আঘাত হানলেও গ্রহাণুটির গতিপথ পরিবর্তন হয়েছে কি না, তা অবশ্য এখনই জানা যাচ্ছে না। আগামী মাসে পৃথিবী থেকে নাসার টেলিস্কোপ দিয়ে গ্রহাণুটি পর্যবেক্ষণের পরই বিষয়টি স্পষ্ট হবে। যদিও হিসাবনিকেশ মিলিয়ে নাসার কর্মকর্তারা বলছেন, মহাকাশযানটি যে উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়েছিল, তা সফল।


গত বছর নভেম্বরে নাসার স্পেসএক্স রকেটের মাধ্যমে 'ডার্ট' উৎক্ষেপণ করা হয়ছিল। পরিকল্পনা অনুযায়ী সবকিছু প্রস্তুত করতে সময় লেগেছে প্রায় সাত বছর। অভিযানের সাফল্য নিয়ে নাসার এক কর্মকর্তা বলেন, গ্রহাণুর সঙ্গে সংঘর্ষ আমাদের অভিযানকে চূড়ান্ত সাফল্য এনে দিয়েছে। এখানে যে প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, তা হয়তো ভবিষ্যতে পৃথিবীকে রক্ষা করবে।


৬ কোটি ৬০ লাখ বছর আগে পৃথিবীতে আঘাত হেনেছিল চিক্সুলুব নামের এক গ্রহাণু। তাতে পৃথিবীর মোট গাছপালা ও পশুপাখির চার ভাগের তিন ভাগই ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। ওই সময়েই বিলুপ্ত হয়েছিল ডাইনোসর। ওই গ্রহাণুর তুলনায় আকারে অবশ্য অনেক ছোট এই ডিমরফস। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ডিমরফসের মতো আকৃতির গ্রহাণুগুলি গোটা পৃথিবীর পক্ষে ততটা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়াবে না হয়তো, তবে সেগুলির সরাসরি আঘাতে বড় কোনো শহর নিমেষেই মাটির সঙ্গে মিশে যেতে পারে!


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)