জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাঙালির অন্যতম প্রিয় গান 'দেখেছো কি তাকে'। সেই গানের কয়েকটি লাইন-- 'দেখেছ কি তাকে ঐ নীল নদীর ধারে?/ বৃষ্টি পায়ে পায়ে তার কি যেন কি নাম/
জলে ভেজা মাঠে আকাশে হাত বাড়ায়/ মেঘের আড়ালে ভেসে থাকা সেই রংধনু কে চায়/ দেখেছ কি তাকে ঐ নীল নদীর ধারে?'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আকাশে সম্প্রতি যে রামধনু-রং ছড়িয়েছে, সে কি নীল নদীর ধারের? না, তাই-বা কী ভাবে সম্ভব? নীল নদী তো বইছে মাটিতে। গানের নদীর রামধনু-রং তো আর আকাশে সম্ভব নয়। তবে এ রামধনুর কোথায় শেষ? এমনই এক প্রশ্ন এখন ভেসে বেড়াচ্ছে মহাকাশবিদদের জগতে। আর ওদিকে অঢেল রঙের বন্যা মহাজগতের বুকে। এই রামধনু-রং ছড়িয়েছে প্লুটো।
    
এর ফলে প্লুটোকে সম্পূর্ণ নতুন ভাবে নতুন রূপে দেখা যাচ্ছে। এমনিতে আমাদের সৌরজগতের মধ্যে বুধ, মঙ্গল এবং চাঁদ নিয়েই বেশি চর্চা। অন্য গ্রহগুলি নিয়ে চর্চা তুলনায় কম। সেই অবস্থায় প্লুটো নিয়ে নতুন করে এই চর্চা মহাকাশবিদ্যার ক্ষেত্রে নতুন গবেষণার পরিসর খুলে দিয়েছে।


জানা যাচ্ছে প্লুটোর ভূমিরূপ নিয়ে অনেক অজানা তথ্য়। যেমন, এই গ্রহটির ভূস্তরের উপরিভাগ খুবই বিচিত্র, এখানকার দীর্ঘ বিস্তৃত উচ্চাবচ ভূমিরূপের পাশাপাশি মসৃণ বরফস্তর সঙ্গে বাতাসতাড়িত উন্নত ভূমি-- এই সবকিছুর জেরে এই রামধনুর সৃষ্টি। বিচিত্র এই ভূমিস্তরে আলোর বিচ্ছুরণে তৈরি হয়েছে বিচিত্র রঙের বাহার। 'নিউ হরাইজনস'-এর তরফে সম্প্রতি এই নতুন গবেষণা করা হয়েছে। সেই গবেষণা থেকেই প্লুটো সম্বন্ধে এই সব তথ্য জানা যাচ্ছে।


জানা গিয়েছে এই গ্রহের বাঁদিকটা অনেকটাই নীল-সবুজ রঙে মাখামাখি, যেখানে রয়েছে ঘুরন্ত বেগনি রঙের ছোপ। আর এর ডানদিকে রক্তাভ কমলা রঙের মাথায় দীপ্ত হলুদ-সবুজের প্রলেপ। সব মিলিয়ে এক অপূর্ব সুন্দর রঙিন দৃশ্য। যেন কোনও শিল্পীর হাতে আঁকা ছবি। ঠিক এইরকম একটি ছবিই পোস্ট করেছে নাসা।  


নাসা-র ব্লগে লেখা হয়েছে-- প্লুটো কুইপার বেল্টে অবস্থিত একটি বামন গ্রহ। যুক্তরাষ্ট্রের যা প্রস্থ, তার অর্ধেক পরিধি প্লুটোর। আর এর সব চেয়ে বড় চাঁদের নাম 'শারন' যা প্লুটোর আকারের অর্ধেক। 
 (Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App) 


আরও পড়ুন: Hot Jupiter: এ কোথাকার মেঘ-জল? এ কোন নতুন জগৎ? দেখাল জেমস ওয়েব...