ওয়েব ডেস্ক: জঙ্গি দমনে বড়সড় সাফল্য পেল বাংলাদেশ সরকার। একটি বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে নয় জঙ্গিকে নিকেশ করল বাংলাদেশ পুলিস। ঢাকার কল্যাণপুর বাসস্ট্যান্ডের কাছে জাহাজবাড়ি নামে ওই বাড়িতে ঘাঁটি গেড়েছিল ওই জঙ্গিরা। আটক করা হয়েছে গুলিবিদ্ধ এক জঙ্গিকে। আহত হয়েছেন একজন পুলিস কর্মীও। পুলিসের তরফে জঙ্গি দমন অভিযানটির নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন স্টর্ম টুয়েন্টি সিক্স।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তখনও সূর্য ওঠেনি। ঘুম থেকে ওঠেনি ঢাকা। ঘুম ভাঙল টানা গুলির শব্দে। তবে এবার জঙ্গি আক্রমন নয়। জঙ্গি হামলাকারীদের নিকেশ করতে গর্জে ওঠে বাংলাদেশ পুলিসের রাইফেল। ঢাকার সেই গুলশন থেকে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার দূরে কল্যাণপুরে আস্তানা গেড়েছিল জঙ্গিরা। কল্যাণপুরের গার্লস হাইস্কুলের পাশে জাহাজ বাড়ি নামে এক বহুতলের পাঁচ তলায় জঙ্গিরা আস্তানা গেড়েছিল। মঙ্গলবার এক্কেবারে ভোরবেলায় অভিযান শুরু করে পুলিস। অপারেশনের নাম দেওয়া হয়েছিল অপারেশন স্টর্ম টোয়েন্টি সিক্স। সোয়াট বাহিনীর নেতৃত্বে চলে মূল অভিযান। RAB ও বাংলাদেশ পুলিস গোটা এলাকা ঘিরে রাখে।


আরও পড়ুন- কাশ্মীরে ছররা ব্যবহারের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের অভিনব প্রতিবাদ


ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিসের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ কমিশনার জানিয়েছেন, জঙ্গিদের পরণে ছিল কালো পাঞ্জাবি, উদ্ধার হয়েছে কালো পতাকা, গ্রেনেড ও পিস্তল। গুলশন হামলার সময়ও যে পাঁচ জনের ছবি প্রকাশ করেছিল আইএস, তারাও দাড়িয়েছিল কালো পতাকার সামনে। তবে বাংলাদেশ পুলিস প্রধান শহিদুল হক জানিয়েছেন, হতাহতরা সকলেই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জেএমবির সদস্য।


আরও পড়ুন- ফ্লোরিডায় বন্দুকবাজের হামলায় হত ২


গুলশন হামলার পর জঙ্গিরা জানিয়েছিল আরও হামলা হবে। হয়েওছিল। বাংলাদেশ সরকারও জঙ্গিদমনে যথেষ্ট কড়া ব্যবস্থা নিয়েছে। গুলশন হামলার পঁচিশ দিনের মাথায় বড়সড় সাফল্য মিলল।


গুলিবিদ্ধ জঙ্গিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার পরিচয়ও জানা গেছে, ধৃতের নাম হাসান, বাগুড়ার জীবন নগরের বাসিন্দা। ধৃতের বয়স চব্বিশ।