নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্তর্জাতিক চাপের মুখে বুধবার সকালেই পাকিস্তানে গ্রেফতার করা হয়েছে জামাত-উদ-দাওয়ার প্রধান এবং লস্কর-ই-তৈবার সহ-প্রতিষ্ঠাতা, মুম্বই হামলার মাস্টারমাইন্ড হাফিজ সইদকে। বুধবার হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করে পাক পঞ্জাবের কাউন্টার টেররিজম ডিপার্টমেন্ট (সিটিডি)। জঙ্গিদের আর্থিক সাহায্য দেওয়ার অভিযোগে এ দিন সইদকে গ্রেফতার করে সিটিডি। আর হাফিজ সইদকে গ্রেফতার করার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই টুইট করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, ১০ বছর খোঁজার পর মুম্বই হামলার ‘সো কলড মাস্টারমাইন্ড’ পাকিস্তানে গ্রেফতার হয়েছে। তাকে খুঁজে বের করতে বিগত ২ বছরে মারাত্মক চাপ দেওয়া হয়েছে।



COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু ২০০৮ সালের মুম্বই হামলাই নয়, ২০০১ সালে দিল্লির সংসদ ভবনে হামলা চালানোর ঘটনায়, ২০০৬-এ মুম্বইয়ে ট্রেনে বিস্ফোরণের সঙ্গেও হাফিজ সইদের প্রত্যক্ষ যোগাযোগ রয়েছে দাবি ঘারতীয় গোয়েন্দাদের। ভারতের সন্ত্রাসবাদ বিষয়ক ডসিয়রেও নাম ছিল হাফিজ সইদের। কিন্তু তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে বিনা বাধায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল সে। হাফিজ সইদের জঙ্গি-যোগের একাধিক সাক্ষ্য-প্রমাণ পাকিস্তানকে বার বার জানিয়েও কোনও ফল হচ্ছিল না।


আরও পড়ুন: অবশেষে লাহোরে গ্রেফতার মুম্বই হামলার মূলচক্রী হাফিজ সইদ


দীর্ঘদিন ধরেই হাফিজ সইদকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানাচ্ছিল ভারত। এ ক্ষেত্রে একটা সময় পর্যন্ত চিনের সমর্থন না পেলেও শেষমেশ নিজেদের অবস্থান বদল করে বেজিং। সম্প্রতি হাফিজ সইদকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। এর পর হাফিজের মাথার দাম ৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার ঘোষণা করে মার্কিন প্রশাসন। তার পরেই ইমরান খানের মার্কিন সফরের আগে গ্রেফতার করা হল হাফিজ সইদকে।