পাকিস্তানি জঙ্গিরাই মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল, কবুল নওয়াজ শরিফের
পাকিস্তানি জঙ্গিরাই যে ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল তা স্বীকার করে নিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এতদিন ভারত মুম্বই হামলায় পাকিস্তানের জঙ্গি নেতাদের হাত থাকার কথা বহু তথ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতদিনে পাকিস্তানের খোদ প্রধানমন্ত্রীই তা স্বীকার করে নিলেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন: পাকিস্তানি জঙ্গিরাই যে ২০০৮ সালে মুম্বইয়ে হামলা চালিয়েছিল তা স্বীকার করে নিলেন প্রাক্তন পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ। এতদিন ভারত মুম্বই হামলায় পাকিস্তানের জঙ্গি নেতাদের হাত থাকার কথা বহু তথ্যপ্রমাণ দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এতদিনে পাকিস্তানের খোদ প্রধানমন্ত্রীই তা স্বীকার করে নিলেন।
পাকিস্তানের বিশিষ্ট দৈনিক দ্যা ডন-কে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে নওয়াজ শরিফ বলেন, ওই হামলা রুখে দেওয়া হতো। তাঁর কথায়, ‘দেশে জঙ্গিরা সক্রিয়। তারা নন স্টেট অ্যাক্টর হতে পারে। কিন্তু তাদের কি আমরা সীমান্ত পেরিয়ে গিয়ে মুম্বইয়ে ১৫০ জনকে খুন করার সুযোগ করে দিতে পারি? আমরা ওদের বিচার করছি না কেন?’
অারও পুড়ুন-ঘটনাস্থলে ছিলাম না, আমি নির্দোষ : আরাবুল ইসলাম
উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৬ নভেম্বর ১০ পাক জঙ্গি জলপথে ভারতে প্রবেশ করে মুম্বইয়ের বিভিন্ন জায়গায় নির্মম ভাবে গুলি চালিয়ে ১৬৬ জনকে হত্যা করে। আহত হয় ৩০০ জন। পুলিস একমাত্র জীবিত জঙ্গি হিসেবে আজমল কাসভকেই ধরতে পারে। বিচারে তার ফাঁসি হয়।
২৬ নভেম্বর আজমল কসভ ও ইসমাইল খান হামলা চালায় ছত্রপতি শিবাজী টার্মিনাসে। তাদের গুলিতে নিহত হয় ৫৮ জন। আহত হন ১০০ জন। এদিন সকাল সাড়ে নটা নাগাদ হামলা করা চালানো হয় লিওপোল্ড ক্যাফেতে। নিহত হন ৫ জন, আহত ১০। জঙ্গিরা এরপর হামলা চালায় তাজমহল হোটেল ও ওবরয় ট্রাইডেন্ট হোটেলে।
আরও পড়ুন-কমিশনে ভরসা নেই, ভোট-হিংসার ছবি তুলতে দলীয় কর্মীদের মাঠে নামাল বিজেপি
২৭ নভেম্বর তাজমহল হোটেলের মূল গম্বুজে বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। হোটেলের উপরতলায় আগুন লেগে যায়। এনএসজির অপারেশনে জঙ্গিমুক্ত হয় তাজ হোটেল।