ব্যুরো: ভারতীয় দূতাবাসের পর এবার আফগান জঙ্গিদের নিশানায় পাকিস্তানি দূতাবাস। হামলা  জালালাবাদের পাক দূতাবাসে। প্রথমে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, তারপর গুলির লড়াই। ৪ ঘণ্টার লড়াই শেষে খতম জঙ্গিরা।  শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই পর পর জঙ্গি হামলা, আশঙ্কা কূটনৈতিক মহলের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

(০৩.০১.২০১৬, মাজার-এ-শরিফ)
(১৩.০১.২০১৬, জালালাবাদ)


মাজার-এ-শরিফে ভারতীয় দূতাবাসে জঙ্গি হামলার দশদিনও কাটল না। এবার জঙ্গি নিশানায় জালালাবাদের পাকিস্তানি দূতাবাস। হামলা ঠিক একই কায়দায়।


বুধবার সকাল। জালালাবাদের পাক দূতাবাসের বাইরে ভিসার জন্য লম্বা লাইনে ঢুকে পড়ে এক জঙ্গি। দূতাবাসে ঢুকতে বাধা পেয়ে আত্মঘাতী  বিস্ফোরণ ঘটায় সে। এরপরই  দূতাবাসের কাছে একটি খালি বাড়ি থেকে শুরু হয় গুলিবৃষ্টি।  টানা ৪ ঘণ্টা নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে খতম হয় জঙ্গিরা। হামলায় কয়েকজন সাধারণ নাগরিক এবং আফগান নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। জালালাবাদের পাক দূতাবাস থেকে মাত্র ২০০ মিটার দূরে ভারতীয় দূতাবাস। বিদেশমন্ত্রক সূত্রে খবর, দূতাবাসের কর্মীরা নিরাপদেই আছেন।  যদিও মঙ্গলবারই জালালাবাদের ভারতীয় দূতাবাসের বাইরে একটি ছোটখাট বিস্ফোরণ হয়। তাতে কেউ হতাহত হননি।


কূটনৈতিক মহলের আশঙ্কা, টার্গেট শান্তি প্রক্রিয়া?


আফগান শান্তি প্রক্রিয়া ভেস্তে দিতেই পর পর জঙ্গি হামলা। তালিবানের সঙ্গে আলোচনা প্রক্রিয়ার অন্যতম সমর্থক ভারত। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আফগান সফরের কয়েকদিনের মধ্যেই মাজার-এ-শরিফের হামলা হয়। মঙ্গলবার আফগান পুলিসের এক শীর্ষ আধিকারিক দাবি করেন, ভারতীয় দূতাবাসে ওই হামলায় জড়িত ছিল পাক সেনা। এবার হামলা পাকিস্তানি দূতাবাসে।  আগামী সপ্তাহে শান্তি প্রক্রিয়া নিয়ে চার দেশিয় বৈঠকের আগে তাই রীতিমতো চাপে কাবুল।