নিজস্ব প্রতিবেদন: সেই চেনা লব্জের মতো বলাই চলে যে, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে! এই আলোচনাটা বেশি করে ঘুরে বেড়াচ্ছে পাকিস্তানে ইমরান-সরকারের পতনের পরে। কেন ঘুরে বেড়াচ্ছে?


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আসলে পাকিস্তানের ৭৫ বছরের ইতিহাসে কোনও প্রধানমন্ত্রীই তাঁর পাঁচ বছরের দায়িত্বের মেয়াদ শেষ করতে পারেননি! এই আলোচনাটা ঘুরে বেড়াচ্ছে ইমরান-সরকারের পতনের পরে। প্রসঙ্গত, ইমরান খান পাকিস্তানের ১৮ তম প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের ১৮ অগাস্ট তিনি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরতে হয় তাঁকে। তাঁর মেয়াদ দাঁড়ায় মাত্র তিন বছর সাত মাস!


অনাস্থা ভোটে হেরে ইমরান খান ক্ষমতাচ্যুত হওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীদের এই ৫ বছর পূর্ণ না করতে পারার ট্র্যাডিশন অব্যাহত রইল। ১৯৪৭ সাল থেকে মোট ২৯ জন প্রধানমন্ত্রীকে পেয়েছে পাকিস্তান। যাঁদের মধ্যে একজন এক বছরে দু'বারও দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন! হত্যা করা হয়েছে এক প্রধানমন্ত্রীকে। ১৮ বার তাঁদের অপসারণ করা হয়েছে। কখনও দুর্নীতির অভিযোগে, কখনও সামরিক অভ্যুত্থানের জেরে, কখনও আবার ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর অন্তর্দ্বন্দ্বের কারণে পদত্যাগ করতে একরকম বাধ্যও করার মতো ঘটনাও ঘটেছে। সব মিলে সংসদীয় গণতন্ত্রের দিক থেকে পাকিস্তান এক আশ্চর্য দেশ হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।


দেখে নেওয়া যাক অন্তত কয়েকজন পাক প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক খতিয়ান।


প্রথম পাক প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খান। ১৯৪৭ সালের অগাস্টে দায়িত্ব নেন তিনি। ১৯৫১ সালের ১৬ অক্টোবর রাজনৈতিক সমাবেশে নিহত হন। তাঁর মেয়াদ চার বছর দুমাস।


নবম প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টো। ১৪ অগাস্ট ১৯৭৩ সালে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ৫ জুলাই ১৯৭৭-এ এক সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন, জেলে যান। তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তাঁর মেয়াদ ৩ বছর ১১ মাস। 


বেনজির ভুট্টো প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলি ভুট্টোর কন্যা মুসলিম দেশের প্রথম মহিলা নেত্রী এবং পাকিস্তোনের ১১ তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৮৮ সালের ২ ডিসেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। দুর্নীতির অভিযোগে রাষ্ট্রপতি তাঁর সরকারকে ৬ আগস্ট, ১৯৯০ সালে বাতিল করেন। তাঁর শাসনের মেয়াদ ১ বছর ৮ মাস।


১৯৯৩ সালের ১৯ অক্টোবর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফিরে আসেন বেনজির ভুট্টো। হিসেবের খাতিরে তিনি ১৩ তম প্রধানমন্ত্রী। ১৯৯৬ সালের ৫ নভেম্বর অপশাসনের অভিযোগে আবারও রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বরখাস্ত হন। তাঁর এবারের মেয়াদ তিন বছরের কিছু বেশি।


এর পরই আসেন নওয়াজ শরিফ। ১৯৯৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসেন। ১৯৯৯ সালের ১২ অক্টোবর পাকিস্তানের ইতিহাসে তৃতীয় সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত হন। তাঁর মেয়াদ দুবছর আট মাস।


এর অনেকটা পরে আসেন ইমরান খান। ইমরান দেশের আঠারো তম প্রধানমন্ত্রী। ২০১৮ সালের ১৮ অগাস্ট প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০২২ সালের ১০ এপ্রিল বিরোধীদের অনাস্থা প্রস্তাবের মাধ্যমে ক্ষমতা থেকে সরতে হয় তাঁকে। তাঁর মেয়াদ তিন বছর সাত মাস!


অতএব, সেই ট্র্যাডিশন সমানে চলছে!


আরও পড়ুন: Russia-Ukraine War: হঠাৎই কিয়েভের রাস্তায় ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী! সঙ্গে জেলেনস্কিও


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)