নিজস্ব প্রতিবেদন: ইমরান খান আছেন ইমরানেই। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার মঞ্চে কাশ্মীরে কার্যত রক্তগঙ্গা বইয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তার আগে ভারতের সনাতনী সংস্কৃতির কথা টেনে শান্তি ও বিশ্বভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়েছিলেন নরেন্দ্র মোদী। আর নিজের ভাষণে পাকিস্তানের কট্টরপন্থী মনোভাব আরও একবার স্পষ্ট করে দিলেন ইমরান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন,''যুদ্ধ নয়, বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষার অভিযানে সবচেয়ে বেশি বলিদান দিয়েছেন ভারতীয়রা। সন্ত্রাসই এখন বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়া অনিবার্য।'' আর ইমরান খানের মুখে চলে এল যুদ্ধের হুঙ্কার। পাক প্রধানমন্ত্রী বলেন,''দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হলে যে কোনও কিছুই ঘটতে পারে। একটা দেশ পড়শির থেকে সাত গুণ ছোট, তাহলে দুটো বিকল্প হাতে থাকে। হয় আত্মসমর্পণ নয়তো স্বাধীনতার জন্য মৃত্যুবরণ।''           
   
ইমরান আরও বলেন,''আমরা কী করব? আমি নিজেকে প্রশ্নটা করেছি। আমরা লড়ব। আর যখন পরমাণুশক্তিধর রাষ্ট্র জীবনমরণ লড়াই করে তখন তার ফল সীমা ছাড়িয়ে যেতে পারে।''          



বলে রাখি, নরেন্দ্র মোদীর ভাষণের এক ঘণ্টা পরে রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভায় বক্তব্য রাখেন ইমরান খান। বরাদ্দ ১৭ মিনিট পেরিয়ে ৫০ মিনিট পর্যন্ত ভাষণ দেন পাক প্রধানমন্ত্রী।  আর তাঁর ভাষণ চলাকালীন রাষ্ট্রসঙ্ঘের বাইরে বিক্ষোভ দেখান গিলগিট-বালটিস্তানের বাসিন্দারা। সেনজে হাসান নামে এক বিক্ষোভকারী বলেন, ''গিলগিট-বালটিস্তান বেআইনিভাবে দখল করে রেখেছে পাকিস্তান। আমরা তার প্রতিবাদ করছি। ওই অঞ্চলের মানুষরা ভারতীয় নাগরিকরা।''     


আরও পড়ুন- শিবজ্ঞানে জীবসেবা, বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রাচীন সনাতনী সংস্কৃতির জয়গান মোদীর