শিবজ্ঞানে জীবসেবা, বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রাচীন সনাতনী সংস্কৃতির জয়গান মোদীর

তামিল দার্শনিক কানিয়ান পুনগুনদ্রানার থেকে গৌতম বুদ্ধ, স্বামী বিবেকানন্দের কথা টেনে বিশ্বকে ভারতদর্শন করালেন মোদী। 

Updated By: Sep 27, 2019, 11:55 PM IST
শিবজ্ঞানে জীবসেবা, বিশ্বমঞ্চে ভারতের প্রাচীন সনাতনী সংস্কৃতির জয়গান মোদীর

নিজস্ব প্রতিবেদন: ভারত শুধু নিজের কথা ভাবে না, বিশ্বকল্যাণে কাজ করে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের সাধারণ সভার ভাষণে ভারতের বিশ্বরূপ তুলে ধরলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোদীর ভাষণ জুড়ে থাকল ভারতের প্রাচীন সংস্কৃতি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ''আমাদের সংস্কৃতি জীবে শিব দেখে। সকলে মিলে জলকল্যাণই আমাদের সংস্কৃতির প্রাণতত্ব। আর জনকল্যাণ শুধু ভারতের জন্য নয়, বিশ্বকল্যাণের জন্য। জনকল্যাণ থেকে বিশ্বকল্যাণই লক্ষ্য। তাই তো আমাদের লক্ষ্য, সবকা সাথ, সবকা বিকাশ, সবকা বিশ্বাস।''
 
'বসুধৈব কুটুম্বকম্' অর্থাত্ গোটা বিশ্ব একটা পরিবার। বিশ্বমঞ্চে ভারতের সনাতনী সংস্কৃতির জয়গান করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তামিল দার্শনিক কানিয়ান পুনগুনদ্রানার থেকে গৌতম বুদ্ধ, স্বামী বিবেকানন্দের কথা টেনে বিশ্বকে ভারতদর্শন করালেন মোদী। বললেন, ''বিশ্বের প্রাচীনতম ভাষা তামিলে কানিয়ান পুনগুনদ্রানার বলেছিলেন, সকল জায়গার সঙ্গে আমাদের আত্মার টান। সকলে আমাদের আপনজন। তিন হাজার বছর আগে একথা বলছিলেন। এটাই ভারতের বৈশিষ্ট্য।''  

মোদী আরও বলেন, ''জনকল্যাণে ভারতের কাজ  দয়া বা দেখনদারি নয়, এটা কর্তব্য। ১৩০ কোটি ভারতীয়কে মাথায় রেখে কাজ করে চলছে আমার সরকার। শুধু দেশের জন্য নয়, সারা বিশ্বের কথা ভাবছি। প্রতিটি দেশের, প্রতিটা সমাজের জন্য কাজ করে চলেছে ভারত।''

সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বলতে গিয়ে গৌতম বুদ্ধের কথা বললেন মোদী। বললেন,''যুদ্ধ নয়, বিশ্বকে বুদ্ধ দিয়েছে। গত ৫ বছর ধরে বিশ্ববন্ধুত্ব ও বিশ্বকল্যাণের মহান সংস্কৃতিকে নিয়ে এগিয়ে চলেছে ভারত। রাষ্ট্রসঙ্ঘের শান্তিরক্ষার অভিযানে সবচেয়ে বেশি বলিদান দিয়েছেন ভারতীয়রা। সন্ত্রাসই এখন বিশ্বের কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে একজোট হওয়া অনিবার্য।''  

শেষটাও বা বাদ যায় কেন! মোদীর ভাষণের উপসংহারে আসলেন স্বামী বিবেকানন্দ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোয় বিশ্বভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়ে মন জয় করেছিলেন ভারতীয় সন্ন্যাসী। সে কথা স্মরণ করিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন,''ভারতের মহান আধ্যাত্মিক গুরু শিকাগোয় বিশ্ব ধর্ম সংসদে বিশ্ব ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়ে বলেছিলেন, শান্তি ও সম্প্রীতির কথা। দুনিয়ার সবচেয়ে বড় গণতন্ত্র ভারতের আজও একটাই বার্তা, শান্তি ও সম্প্রীতি।''

কাশ্মীরে ভারতের বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছে পাকিস্তান। আন্তর্জাতিকমঞ্চে মানবাধিকারের বিষয়টি নিয়ে তারা ভারতকে চাপে ফেলার চেষ্টা করছে ইমরান খানের সরকার। আর সে কারণেই কৌশলে নিজের ভাষণে ভারতের সনাতনী সংস্কৃতির কথা তুলে ধরলেন নরেন্দ্র দামোদরদাস মোদী। আর বুঝিয়ে দিলেন, ভারত জীবজ্ঞানে শিবসেবায় বিশ্বাসী। নতুন ভারতের মধ্যে রয়েছে অতীত ভারতের আত্মা। 

আরও পড়ুন- বিশ্বকে যুদ্ধ নয়, বুদ্ধ দিয়েছে ভারত, বরদাস্ত নয় সন্ত্রাসবাদ, বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী     

.