নিজস্ব প্রতিবেদন: পাক সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়। ধর্মদ্রোহিতার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসিয়া বিবি বেকসুর খালাস পেলেন। রায়ের পরেই অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পাকিস্তান। জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাল উগ্রবাদী সংগঠনগুলি। এমনকি সংবাদ মাধ্যম ও পুলিসকেও আক্রমণ করল কট্টরপন্থীরা। ক্যামেরা ও গাড়িতে চালানো হল ভাঙচুর। বাস থেকে যাত্রী নামিয়ে চলল বেধড়ক মারধর।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

পাকিস্তানে ধর্মের অবমাননার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। এমনটাই বলছে সে দেশের আইন। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট বুধবার যে রায় দিল, তা এককথায় ঐতিহাসিক ছাড়া আর কিছু বলা যাচ্ছে না। আট বছর আগে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া খ্রিস্টান নারী আসিয়া বিবিকে বেকসুর খালাসের নির্দেশ দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট।


২০০৯ সালের জুনের ঘটনা। শেখপুরা এলাকায় ফল পাড়তে গিয়ে অন্য মহিলাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় চার সন্তানের জননী আসিয়া বিবির। সেই প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেন, নবী মহম্মদকে অপমান করেছেন আসিয়া। এই অভিযোগে ২০‍১০ সালে তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। গত ৮ বছর ধরে তাঁকে কারাগারের নির্জন প্রকোষ্ঠে দিন কাটাতে হয়েছে। বার বার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেন আসিয়া।  তাঁর দাবি, তিনি খ্রিস্টান বলে তাঁর হাতে জল খেতে অস্বীকার করেন প্রতিবেশীরা। 


বুধবার সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মিয়া সাকিব নিসার আসিয়ার আপিলের রায় পড়ে শোনান। সেখানে বলা হয়, নিম্ন আদালত ও হাই কোর্টের রায় পরিবর্তন করে তাঁকে বেকসুর খালাস দেওয়া হচ্ছে। তাঁর দণ্ড প্রত্যাহার করা হল।



এই রায়ের পরেই আগুন জ্বলে পাকিস্তানে। হাজার হাজার কট্টরপন্থী ইসলামাবাদ, করাচি, রাওয়ালপিন্ডির প্রধান প্রধান সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখায়। টায়ার জ্বালিয়ে রাস্তা আটকে দেওয়া হয়। সংবাদ মাধ্যম এবং পুলিসকে আক্রমণ করে তারা। ক্যামেরা এবং গাড়িতে ভাঙচুর চালায়। বাস থেকে যাত্রীদের নামিয়ে বেধড়ক মারধর করা হয়।


আরও পড়ুন- বিশ্ব ব্যাঙ্কের ব্যবসাবান্ধব দেশের সূচকে ২৩ ধাপ উঠে ৭৭তম স্থানে ভারত